কুমিল্লা সদর দক্ষিণ

চাঁদপুর শহরের ট্রাক রোড মরণ ফাঁদ

চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের সামনে থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মিশন রোডের রেল গেট সম্মুখভাগ থেকে নতুন বাজার সিএসডি গোডাউন পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থান বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। অবস্থা এতোই নাজুক যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গাড়িতে চলা তো দূরের কথা পায়ে হেটে চলাও অনেক কষ্ট হয়ে পড়েছে।

সড়কটিতে রয়েছে ইসলামী ফাউন্ডেশন অফিস, রবি ও এয়াটেল কাষ্টমার কেয়ার, আল আমিন মডেল মাদ্রাসা, ১৫০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নৌ-পলিশ সুপারের কার্যালয়, বিআইডবিøউটি অফিস, ট্রাক ঘাট, সিএসডি গোডাউন, শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট অফিস সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতায়াতের অন্যতম সড়ক এটি। এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও কার্যলয়ে চলাচলকারীর প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মুখে পড়েন। জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যাতায়াত করলেও সড়কটির দিকে তাকাবার কেউ নেই।

এ সড়ক দিয়ে বেশিরভাগ সময়েই ভারী যানবাহন তথা ট্রাক, ট্রাক্টর, লড়ি, সিএনজি, রিক্সা, অটোরিক্সা, চলাচল করে। ফলে খানাখন্দে ভরা ভাঙ্গা সড়কে বড় বড় গর্ত এমন ভাবে সৃষ্টি হয়েছে যা দেখে মনে হয় গর্তগুলো একেটি একটি পুকুর। একাধিক পথচালী ক্ষোভের সাথে বলেন, মনে হয় দেশে সরকার নেই। এ সড়কে চলাচল একইবারের অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়াও এ সড়কে প্রতিনিয়ত দূর্ঘনা হচ্ছে। নতুন বাজার ট্রাক ঘাট হওয়ার কারনে এ রাস্তা দিয়ে প্রতি নিয়ত ভারি মালবাহী ট্রাক ও তেলের ভাউচার চলাচলের করে। নিন্ম মানের কাজ হওয়ায় অল্প দিনেই রাস্তায় গর্ত হয়ে যায়। এলাকাবাসীর পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী এভারের কাজ যাতে ভালো মানের হয় তা তদারকি করা হকো।

চাঁদপুর পৌরসভার ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর আয়শা রহমান জানান, সড়কটির কথা অনেক বার আমাদের পৌরসভার সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারীতে সড়কটির কাজ শুরু হয়োর কথা ছিলো, কিন্তু এখনো শুরু হয়নি। কি কারণে কাজ শুরু হয়নি তা আমি বগত নই।

চাঁদপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ডিএম শাহজাহান বলেন, মিশন রোডের সামনে থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত সড়কের কাজের বিষয় আমি তেমন কিছু জানি না। তবে যেটুকু জানি এটির ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদের সাথে কথা বলে তিনি দৈনিক ইল্শেপাড়কে জানান, মিশন রোডের সামনে থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত সড়কটির ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। জুনের আগে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। আমি পৌরসভার দায়িত্ব পাওয়ার পর এ সড়কটির দু’বার কাজ করেছি। ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টের কাজ চলার সময় এ সড়কটি দিয়ে শত শত টনের লোড নিয়ে যন্ত্রাংশ আনা হয়েছে। যার ফলে সড়টিতে বড় বড় গর্ত হয়েছে। এছাড়াও সড়কটি দিয়ে প্রতি নিয়ত শত শত ট্রাক ও তেলের ভাউচার বেশি চলাচল করে। এভার সড়টি কাজ মজুব করে করা হবে, যাতে শত শত টনের গাড়ির লোড নিতে পাড়ে। সহসাই সড়কের কাজ শুরু হবে।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker