চান্দিনাজাতীয়

চান্দিনায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের ভিড়

চান্দিনায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের ভিড় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ

মো. আবদুল বাতেন,,কুমিল্লার চান্দিনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচে পরা ভিড় দেখা গেছে। চলমান করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও অর্থের প্রয়োজনে ব্যাংকে যেতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

 

সোমবার (১৮ মে) সকালে চান্দিনা পশ্চিম বাজার এলাকায় জনতা ব্যাংক লিমিটেড চান্দিনা সমবায় কর্পোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংক চান্দিনা শাখা, সোনালী ব্যাংক চান্দিনা শাখাসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে গ্রাহকদের ভিড় দেখা গেছে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্যাংকগুলোতে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারিদের মাসিক বেতন, বোনাস ও ভাতা, অন্যান্য চাকরিজীবীদের বেতন, বিদেশি রেমিটেন্স ও অনলাইন ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদির জন্যই আসছেন গ্রাহকরা।

 

চলমান করোনা সঙ্কটের কারণে দেশজুড়ে চলছে সাধারণ ছুটি। আর চান্দিনা উপজেলায় ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় গত ৩ মে থেকে এ উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। এই রেড জোন ঘোষিত এলাকায়ও মানুষের অর্থনৈতিক লেন-দেন ও চাহিদা মিটাতে জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ব্যাংক এর কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ।

 

সরেজমিনে সোমবার (১৮ মে) জনতা ব্যাংক লিমিটেড চান্দিনা সমবায় কর্পোরেট শাখায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই ব্যবসায়ী, শিক্ষক, বিদেশিদের পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ লাইন ধরে ব্যাংকে সেবা নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় জনতা ব্যাংক লিমিটেড চান্দিনা সমবায় কর্পোরেট শাখার ইন-চার্জ ও ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম নিজেই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে গ্রাহকদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। এছাড়া বাইরে লাইনে দাঁড়ানো গ্রাহকদের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে সেবা নিতে অনুরোধ করে যাচ্ছেন ব্যাংকের নিরাপত্তকর্মী ও আনসার সদস্যরা।

 

জনতা ব্যাংক লিমিটেড চান্দিনা সমবায় কর্পোরেট শাখার ইন-চার্জ ও ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার আগে থেকেই অর্থাৎ সব সময়ই জনতা ব্যাংক গ্রাহকদের সেবায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই সঙ্কট মুহূর্তেও আমি আমার ব্যাংকের অফিসারদেরকে নিয়ে ব্যাংকিং খাতের সব ধরনের সেবামূলক কাজ অব্যাহত রেখেছি। এ পর্যন্ত এই শাখায় টাকার কোন সঙ্কট হয়নি। এপর্যন্ত কোন গ্রাহক সেবা না পেয়ে ফিরে যায় নি।

 

গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্য সুরক্ষার নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker