চান্দিনা
ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তে বহাল মজিবুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার: গত ৩১ মার্চের চান্দিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ওই দিন ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে উপজেলা নির্বাচন অফিসার।
তবে চেয়ারম্যান পদের চূড়ান্ত ফলাফল স্থগিত করে দেয় উপজেলা নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর এগিয়ে থানা প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান আর স্থগিত হয়ে যাওয়া চারটি কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় সমান হওয়ায় ওই ভোটকেন্দ্রসমূহে পুনরায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে মোতাবেক নির্বাচন কমিশনের নিকট পুনরায় ভোটগ্রহণের তারিখ চেয়ে আবেদন পাঠানো হয় উপজেলা নির্বাচন অফিসের তরফ থেকে। পরবর্তীতে ওই চার কেন্দ্রে ১৭ এপ্রিল পুনরায় ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে চান্দিনা পৌরসভাধীন অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে কারচুপি, কর্মীদের মারধর, জালভোটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রায় ২০টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানান চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মজিবুর রহমান (আনারস)। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন তার ওই দাবি আমলে না নিয়ে কেবলমাত্র স্থগিত হয়ে যাওয়া ৪টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের তারিখ ১৭ এপ্রিল ঘোষণা করলে তা বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে কুমিল্লার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে ১৭ এপ্রিলের ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৩১ মার্চ ভোট চলাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকের তপন বকসী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতীকের জহিরুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পদ্মফুল প্রতীকের সাফিয়া আক্তার ২০টি কেন্দ্র দখল করে নেয় এবং আমার প্রতিপক্ষ অবৈধ ভাবে ভোট নিজেদের পক্ষে সিল মেরে নেয়। ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন ৪টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনে ২০টি কেন্দ্রে পুনঃ ভোট দাবী করে আসছি। কিন্তু দাবীকৃত ২০টি কেন্দ্র ছাড়া স্থগিত ৪টি কেন্দ্রে আগামী ১৭ এপ্রিল পুনঃ ভোট গ্রহন করবে বলে সিন্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু দাবীকৃত ২০ কেন্দ্রে পুনঃ ভোট না হলে ১৭ এপ্রিলের ভোট বর্জনের সিন্ধান্ত নিয়েছি। সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তালা প্রতীকের ফয়সাল বারী মুকুল উপস্থিত ছিলেন।





