চান্দিনা

চান্দিনার কৈলাইন হাই স্কুলে গ্রন্থাগারিক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

চান্দিনার কৈলাইন হাই স্কুলে গ্রন্থাগারিক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কৈলাইন তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই পদে আবেদনকারী একজন প্রার্থী চান্দিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

লিখিত অভিযোগ বলা হয়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক তাদের পাতানো প্রার্থীর মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষার কোরাম গঠন করেন। তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিদ্যালয়ে বা চান্দিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে কৌশলে কুমিল্লা জেলা শহরে অবস্থিত নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করেন।

 

এছাড়া বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রার্থীদেরকে চিঠি প্রেরণ করা হয়। ফলে যথাসময়ে লিখিত পরীক্ষার চিঠি না পাওয়ায় প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেননি।

 

অভিযোগকারী প্রার্থী বাপ্পী চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমি ১৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের চিঠি হাতে পাই। তিনি অভিযোগ করেন- ’আমাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক বাবু লাল ও সহকারী প্রধান শিক্ষক রতন পাল আবেদন পত্রে মোবাইল নাম্বার পেয়ে তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে মোটা অংকের টাকার চায়। আমি অপারগ ঘোষণা দিয়ে চলে আসি। আমি ওই পদে পুনরায় নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের আবেদন জানাই।’

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কৈলাইন তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক রতন চন্দ্র পাল বলেন- আমি নিয়োগ বোর্ডে ছিলাম না। অভিযোগকারী প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি ওই প্রার্থীকে কখনো দেখিই নি। টাকা চাওয়ার বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা।

 

কৈলাইন তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু লাল সরকার বলেন, ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ডিজি প্রতিনিধি। তিনি যেখানে বলেছেন সেখানেই নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম দুর্নীতি হয় নি।

 

তিনি আরও জানান ৩ সেপ্টেম্বর আমরা চিঠি ইস্যু করি। ওইদিনই ডাকযোগে প্রার্থীদের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়। ৬জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। ৬ জন সময়মতো চিঠি পেলে উনি পেলেন না কেন ?

 

কৈলাইন তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন- টাকা চাওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। নিয়োগ পরীক্ষায় কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি।

 

এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কানিজ আফরোজ বলেন- নিয়োগ পরীক্ষার দিন আমি উপস্থিত ছিলাম না। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাপ্পী চন্দ্র ঘোষ নামের একজন প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। টাকা চাওয়ার বিষয়টি সেন্সেটিভ। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Close