আন্তর্জাতিক

আবুধাবি থেকে ফেরত পাঠানো ৬৮ জন প্রবাসী

বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

আবুধাবি থেকে ফেরত পাঠানো ৬৮ জন প্রবাসী সকালে দেশে পৌঁছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

 

আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে ১১টার বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরে তারা ইমিগ্রেশন পার না হয়ে বিমানবন্দরে ঢুকেই বসে পড়েন নিজেদের মতো। আবারও তাদের আরব আমিরাত ফিরিয়ে নিতে সরকার ও বিমান কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

 

জানা গেছে, বিমানের ফ্লাইটে শনিবার আবুধাবি যাওয়া ২২০ জনের মধ্যে ৮১ জনকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢুকতে দেয়নি দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তত্ত্ববধানে রাখা হয়। দুইদিন সেখানে হোটেলে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে বিমান। এরপর আজ সকালে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় বিমানেরই একটি ফ্লাইটে।

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার এএইচএম তৌহিদ উল আহসান জানিয়েছেন, আবুধাবি থেকে ফেরত পাঠানো প্রবাসীরা বিনমাবন্দরের ভেতরেই রয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি তোদের বোঝানোর জন্য।

 

আবুধাবির ইমিগ্রেশন জানিয়েছে, প্রত্যেকের কাগজপত্রে ত্রুটি আছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার জন্য আগে যে অনুমোদন নিতে হতো সম্প্রতি তা বাতিল করা হয়েছে। দেশে ফিরে তারা আবার আবুধাবিতে তাদের পাঠাতে বিক্ষোভ করছেন বিমানবন্দর টার্মিনালের ভেতরে। আবারও আবুধাবি ফিরতে চান তারা।

 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একটি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিক্ষোভের কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে জানান, প্রবাসীরা আবুধাবির যে এজেন্সি বা কোম্পানি বা স্পন্সরের মাধ্যমে দেশটিতে গেছেন, সম্প্রতি আবুধাবি সরকার সেসব এজেন্সির অনুমোদন বাতিল করে। তাই তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।

 

তিনি আরও জানান, আমিরাত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের যাত্রীদের নিয়ে আসার আগে আবুধাবি ইমিগ্রেশন থেকে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নিতে হয়। কিন্তু বিমান ঢাকা থেকে আসার আগে কতজন যাত্রী নিয়ে আসছেন এবং যাত্রী কারা ছিলেন সে তথ্য আবুধাবি ইমিগ্রেশনকে না দেয়ায় অনেককে ফেরত দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজনের স্পন্সর বিমানবন্দরে উপস্থিত হওয়ায় তাদের প্রবেশের অনুমতি দেয় আবুধাবি। বাকিদের ফেরত পাঠানো হয়।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কয়েকজন চলে গেছেন। অনেকে এখনও (সর্বশেষ বিকেল ৩টা) আছেন বলে জানান ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

Close