জাতীয়

করোনায় ‘অনন্য মানবিক’ ডিএমপির গুলশান বিভাগ

করোনায় ‘অনন্য মানবিক’ ডিএমপির গুলশান বিভাগ

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন এবং বাহিনীর সদস্যদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন।

ইতোমধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমের কর্মকর্তাগন সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পাশে যাচ্ছেন, তাঁদের সাথে কথা বলছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন ও  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সদা তৎপর রয়েছেন।

 

এর বাইরেও ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগ নিজস্ব উদ্যেগে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্য ও সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

 

এবার ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে মৌসুমী ফলমূল সহ পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছেন।

 

করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই মানবকল্যানে বহুমূখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছে গুলশান বিভাগ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে কর্মহীন, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

 

গুলশান বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা ডিএমপি নিউজকে জানান নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে তাঁরা খাদ্যসহায়তা প্রদান করেছেন।সাহায্যগ্রহীতা যাতে হীনমন্যতায় না ভোগেন সেজন্য তাঁদের পরিচয় গোপন রেখে বাসায় গিয়ে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

 

তাঁরা বলেন, মানবসেবায় গুলশান বিভাগের এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা খাদ্যসামগ্রী পাঠাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিদিন অসংখ্য দু:স্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

 

গুলশান বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা নগরবাসীকে সুস্থ রাখতে নিয়মিতভাবে কাঁচাবাজার, সুপারশপ ও ফার্মেসীতে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য কাঁচাবাজার, সুপারশপ ও ফার্মেসীতে প্রবেশ ও বহির্গমন একমুখী করেছেন। জনসমাগম এড়াতে স্টিকার ও রং দিয়ে সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্টকরণ করে দিয়েছেন।

 

কর্মকর্তারা জানান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় তাঁরা বিভিন্ন বাসায় ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী পাঠাচ্ছেন।

 

এর বাইরেও করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের হাসপাতালে পাঠানো, আবাসস্থল সংলগ্ন এলাকা লকডাউন ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও গুলশান বিভাগের সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। করোনা ভাইরাসে মৃত ব্যক্তির সৎকার ব্যবস্থা করতে নিবেদিত পুলিশ সদস্যরা ধর্মীয় বিধি মেনে মৃত ব্যক্তির সৎকার নিশ্চিত করে চলেছেন।

 

গুলশান বিভাগের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ববোধ থেকেই জনগনকে রক্ষা করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।

 

সংবাদসূত্র: ডিএমপি নিউজ

Close