লাইফস্টাইল

হানিনাট প্লাস হালুয়ার জনক সোনাগাজীর হারুন হুজুর

হানিনাট প্লাস হালুয়ার জনক সোনাগাজীর হারুন হুজুর

গাজী মোহাম্মদ হানিফ, সোনাগাজী:-

ছাত্রজীবনে ছড়া কবিতা লেখা ও চিত্রাঙ্কন করেই অবসর সময় কাটাতেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলাধীন সোনাপুর গ্রামের মাওঃ হারুনুর রশিদ (হারুন হুজুর) পেশা জীবনের অবসর সময়ে মধু সংগ্রহ ও হালুয়া তৈরী করে আজ তিনি অনেক আলোচিত।

এলাকার মানুষজন কোথাও মৌমাছির বাসা দেখলে হারুন হুজুরকে খবর দিলে তিনি তা সংগ্রহ করেন। মধু সংগ্রহ ও বিক্রির কাজে নিয়োজিত থাকায় হারুন হুজুরকে স্থানীয়রা মধু হুজুর নামে চিনেন।

হারুন হুজুর ২০১২সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জরিপে চট্রগ্রাম বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ ইমাম, ২০১৭সালে ফেনী জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ খামারী এবং মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সোনাগাজী উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। বর্তমানে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলাধীন সোনাপুরের ১৭টি কেন্দ্রের মডেল শিক্ষক, সোনাপুর মাদানিয়া জামে মসজিদের ইমাম।

হারুন হুজুর জানান- ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন ঔষুধ নির্দেশিকার বই সংগ্রহ করে পরিমান মত দিয়ে কোনো রকম মেডিসিন ছাড়া জনসাধারণের উপকার হয় এমন কিছু তৈরী করতে চেষ্টা করতেন তিনি।

সাম্প্রতিক সময়ে তিনি “হানিনাট প্লাস হালুয়া” তৈরীর সিদ্ধান্ত নেন। এই হালুয়া তৈরীতে মধু, বাদাম, ঘি, চেরী ফল, ত্রিফলা,খেজুর, শিলাজিত, তাল মিশ্রী, জামের বিচি, কালো জিরা, মেথি, ইসবগুলের ভুসি, তুলসী, অর্জুন, তাল মাখনা, শিমুল মূল, অর্শগন্ধা, পুদিনা, এলোভেরা, তেঁতুল, জৈষ্ঠি মধু, রূহ আফজা, আদা, রসুন, বাসক পাতা, সিরাসীড, কুমড়া বিচি, কালো কিসমিস, লবঙ্গ, জৈত্রিক, বাইশ পদের মসলা, আদামনি, সজিনা পাতা, আলকুশি, কস্তুরী, হলুদ সহ প্রায় ৭০টি আইটেম ব্যবহার করে থাকেন।

প্রতিমাসে তিনি দুইবার প্রতিবারে ২০/২৫ কেজি পরিমাণ হালুয়া তৈরী করেন। যার প্রতি কেজি বিক্রি করেন ১হাজার ৫শত টাকা করে। এক কেজি, আধা কেজি এবং ২৫০গ্রামের প্যাকেট ও বিক্রি করে থাকেন।

উপস্থিত স্থানীয়দের অনেকে জানান- হানিনাট প্লাস হালুয়া সেবন করে যৌন দুর্বলতা, বাতব্যাথা, ডায়াবেটিস, এলার্জি, কোষ্ঠকাঠিন্য, শারীরিক ও স্নায়বিক দুর্বলতা সহ নানান সমস্যায় উপকৃত হয়েছেন, এটি সেবনে এখনো কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker