চান্দিনা

চান্দিনায় পানিপাড়া নতুন বাংলা বাজার থেকে দশ টাকা কেজির ৬৫ বস্তা চাল জব্দ

চান্দিনায় পানিপাড়া নতুন বাংলা বাজার থেকে দশ টাকা কেজির ৬৫ বস্তা চাল জব্দ

মোহাম্মদ হোসাইন আহমেদ।
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের পানিপাড়া নতুন বাংলা বাজার থেকে হত দরিদ্রদের জন্য সরকার ঘোষিত দশ টাকা কেজি দরের চাল এর ৬৫ বস্তা জব্দ করা হয়। রোববার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মফিজুর রহমান ও চান্দিনা থানা পুলিশ ওই বাজারের একটি দোকানঘর থেকে ওই চাল উদ্ধার করেন। পরে জব্দ করা চালগুলো মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের জিম্মায় রাখা হয়। তবে ওই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয় নি।
অভিযোগ উঠে ডিলার মো. জহিরুল ইসলাম জুম্মন ওই চাল হত দরিদ্রদের মাঝে দশ টাকা মূল্যে বিক্রয় না করে গোপনভাবে অন্যত্র বিক্রয় করার পাঁয়তারা করেছিলেন। এজন্য তিনি নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও সরকার নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রয় করেন নি।
এদিকে ওই ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মফিজুর রহমানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
সরেজমিনে জানা যায়, গত নভেম্বর মাসেই ওই চাল বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ডিলার মো. জহিরুল ইসলাম জুম্মন হত দরিদ্রদের মাঝে ওই চাল বিক্রয় না করে দুর্ভিসন্ধিমূলক ভাবে রেখে দেন।
ভোক্তভোগী পানিপাড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে খোকন মিয়া, মৃত নছির উদ্দিন এর ছেলে হারুনুর রশিদ, মৃত চারু মিয়ার ছেলে আবু তাহের, মৃত মতিন মিয়ার ছেলে শাহ্ আলম অভিযোগ করেন- তাদের কার্ড থাকা স্বত্তেও তাদেরকে চাল দেয় নি ডিলার। এদের কয়েকজনের কার্ড ছিড়ে ফেলে দেন ডিলার।
অভিযুক্ত ডিলার মো. জহিরুল ইসলাম জুম্মন জানান, ‘স্থানীয় দিদার সহ কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে মারধর করেছিল। ওই ঘটনায় আমি একটি মামলা করেছিলাম। ওই মামলার হ্রেস ধরেই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। আমার বিক্রয় কেন্দ্র পানিপাড়া নতুন বাংলা বাজারে। চালও সেখানেই রয়েছে। কয়েকজন ব্যক্তির কার্ড নেই তবুও তারা আমার কাছে চাল চেয়েছিল। সরকারি আইন মেনে আমি তাদের চাল দেই নি। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এই কাজ করেছে।’
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ্ সেলিম প্রধান জানান, ‘চাল ডিলারের দোকানেই পাওয়া গেছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ক্রেতারা না আসায় সে বিক্রিও করতে পারে নি। এটা আসলে কোন সমস্যাই না। রাজনীতিক কারণে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে কতিপয় লোকজন।’
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল ফয়সল জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় আমরা চাল জব্দ করে দিয়েছি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মফিজুর রহমান বলেন- ‘চাল জব্দ করে ইউপি সচিবের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।’
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জাকারিয়া জানান, ‘উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker