আন্তর্জাতিকজাতীয়

টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান রণক্ষেত্র, নিহত ১

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইসমাইল নামে এক মুসল্লি নিহত হয়েছে। নিহত ইসমাইল মন্ডলের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। মাওলানা সাদ আহমাদ কান্ধলভী ও মাওলানা জোবায়ের আহমেদ সমর্থকদের মধ্যে এ ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। দুপক্ষের সংঘর্ষে ইজতেমা ময়দান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহত হন অন্তত তিন শতাধিক মুসল্লি।শনিবার (১ ডিসেম্বর) পাঁচ দিনের জোর ইজতেমা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সকালে এ সংঘর্ষ হয়।সংঘর্ষে নিহত হওয়ার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আরিফ।গত ৩০ নভেম্বর শুক্রবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে মাওলানা জোবায়েরপন্থীরা এর বিরোধিতা করেন এবং জোড় ইজতেমা প্রতিহতের ঘোষণা দেন।এর পরই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে জড়ো হয়েছেন।দেখা গেছে, আহত অধিকাংশ মুসল্লির মাথা, নাক ও পিঠ দিয়ে রক্ত ঝরতে। এ ঘটনায় ইজতেমা ময়দান ও তার আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।সংঘর্ষে দুইপক্ষ একে অন্যের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে। এতে মো. সাইফুল ইসলাম (৪০), মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম (৫৫), হাফেজ আবু বক্কর (৩৫), মো. গোলাম কিবরিয়াসহ (৪২) অন্তত শতাধিক মুসল্লি আহত হন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শত শত আহত মুসল্লির চাপে হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকরা হিমসিম খেতে থাকেন।বিষয়টি নিয়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পারভেজ হোসেন বলেন, এক সঙ্গে রক্তাক্ত জখমের এত রোগী টঙ্গী হাসপাতালে আর আসেনি। আমরা সবাই মিলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।বিষয়টি নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, দুপুরে মুসল্লিদের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কিছু মুসল্লি আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের সংখ্য তিনি জানাতে পারেননি।এর আগে শনিবার(০১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায়। এক সময় তাবলীগ-জামায়াতের দু’পক্ষের সদস্যরা ইজতেমা ময়দান, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক, আব্দুল্লাহপুর থেকে কামারপাড়া হয়ে আশুলিয়ার দিকে অবস্থান নেন।

Close