তথ্য প্রযুক্তি

জেল থেকে ছাড়া পেলেন আহসান হাবীব পেয়ার, বললেন সব অভিযোগ মিথ্যা!

জেল থেকে ছাড়া পেলেন আহসান হাবীব পেয়ার, বললেন সব অভিযোগ মিথ্যা!

বিশেষ প্রতিনিধি : নানান অভিযোগে আটক ইউটিউব চ্যানেল এএইচপি টেলিভিশনের কর্ণধার আহসান হাবিব পেয়ার দীর্ঘ ৩ বছর ৩ মাস জেল খাটার পর মুক্তি পেয়েছেন। বিষয়টি ৪ জানুয়ারি সোমবার আহসান হাবীব পেয়ার তার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।সে বার্তায় তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলছেন তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা। এসবের সাথে তার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।
তিনি বলেন, ঢাকায় আমার কোন বাড়ি-গাড়ি কিছুই নেই ।আমার উন্নত মানের একটি ক্যামেরাও নেই । আমার হাতে যে দামি ঘড়ি দেখেছেন তা এক ধনাঢ্য ব্যক্তি আমাকে ওমরা হজ করতে পাঠিয়ে গিফট করেছেন।

পীর সেজে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে যৌন হয়রানির অভিযোগে ২০১৭ সালের মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকালে খিলগাঁওয় তিলপাপাড়ার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম।এডিসি নাজমুল তখন জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার কথা বলে নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ভিডিও ধারণের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি তৈরি করে অর্থ দাবি করে আসছিল হাবীব। দুই নারীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আহসান হাবীব দাওরায়ে হাদিসের শিক্ষার্থী। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সে ধর্মের কথা বলে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে তার জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সে ধর্মের কথা বলে অনেক অনুসারী তৈরি করে। সে নিজেকে পীর দাবি করে জিন তাড়ানোর কথা বলে মেয়েদের নির্যাতন করত। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময়ে মেয়েদের সঙ্গে ইমো ও নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে যৌন উত্তেজক কথা বলত এবং অনেক নারীকেই বাসায় এনে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত।

পুলিশ জানায়, এক নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে হাবীব। অন্য এক নারীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করে সে। তার কম্পিউটার থেকে অন্তত ২০টি ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। এডিসি নাজমুল বলেন, ‘পীর দাবি করা ভণ্ড হুজুর নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় ভিডিও করে তার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করত। পরে সুযোগমতো ভিডিওগুলোর কথা বলে সেই নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা আদায় করত।’ হাবীবের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker