জেলার খবর

১৯ কোটি টাকার রাস্তার কার্পেটিং ৭দিনেই উঠে গেল নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহার।

১৯ কোটি টাকার রাস্তার কার্পেটিং ৭দিনেই উঠে গেল নিম্নমানের সামগ্রী ব্যাবহার।

 

১৯ কোটি টাকার রাস্তার কার্পেটিং ৭দিনেই উঠে গেল রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহারের অভিযোগ স্থানীয়দের।

নির্মাণের সাত দিনের মাথায় উঠে গেছে ঝিনাইদহে সড়ক-জনপথের নির্মিত ১৯ কোটি টাকার রাস্তার কার্পেটিং। এমন অবস্থায় রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল। এ দলে নেতৃত্ব দেন যশোরের উপ-পরিচালক নাজমুস সাদাত। এ সময় তারা জানান, দেখেই বোঝা যাচ্ছে কাজটি নিম্নমানের হয়েছে। রাস্তার কাজে যারা দূর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।আজ বুধবার সকাল থেকে সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার অংশের রাস্তার কার্পেটিং ভেকু মেশিন দিয়ে উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। দূর্নীতি ঢাকতেই ঠিকাদার তড়িঘড়ি করেই সদ্য দেয়া পিচের কার্পেটিং তুলছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের দাবি, ভেকু দিয়ে কার্পেটিং উঠানোই প্রমান করে কাজে ব্যাপক দূর্নীতি হয়েছে।যদিও কাজের ঠিকাদার মিজানুর রহমান ওরফে মাসুম মিয়ার দাবি, রাস্তার কাজে কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে না। যেখানে রাস্তা উঠে যাচ্ছে, ওইখানে টিউবওয়েলের পানি যায়। যে কারণে এমন হয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টির দিনে কাজ করায় ৩০০ মিটার মত রাস্তার সমস্যা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সব রাস্তা ঠিক করে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার কার্পেচিং তুলে ফেলা হয়েছে।উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে গান্না হয়ে ডাকবাংলা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা মজবুতিসহ ওয়ারিং এর কাজ চলছে তিন বছর ধরে। এক সপ্তাহ আগে কালীগঞ্জ নিমতলা বাসস্টান্ড থেকে পাকাকরণের জন্য কার্পেটিং কাজ শুরু করে। ৪ থেকে ৫ দিনে তিন কিলোমিটর কাজ সম্পন্ন করে। এরপর বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ রাখেন। কিন্তু এরই মধ্যে সড়কের শ্রীরামপুর এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার অংশে রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে গেছে। কোথাও বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker