জেলার খবর

মোবাইলই ধরিয়ে দিলো মায়ামী হোটেল কর্মচারী জোবায়েরের খুনি

মোবাইলই ধরিয়ে দিলো মায়ামী হোটেল কর্মচারী জোবায়েরের খুনি

অপরাধী যতবড় দূর্ধষই হোক না কেন,তাদের নিজেদের অজান্তেই কোন না কোন অালামত রেখে যায়। তেমনই একটি ঘটনা ঘটে কুমিল্লা অালেখারচর বিশ্বরোডে অবস্থিত হোটেল মায়ামীর কর্মচারী জোবায়েরের খুনীদের ক্ষেত্রে।

কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা হতে জানা যায়,গত ২৯ মে২০২০,রাতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর কোকা-কোলা কোম্পানী লিঃ ফ্যাক্টরী

হইতে দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী পূর্ব পাশে রাস্তার উপর অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনগণ জরুরী জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ কল দেয়। পরবর্তীতে কোতয়ালী মডেল থানা ও সিআইডি পুলিশ কুমিল্লা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে  ৯৯৯-এ কল দেয়া ঘটনার সত্যতা পেয়ে লাস উদ্বার করে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিহত  ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে। জানা যায় অজ্ঞাতনামা যুবক সিলেট দৌয়ারা বাজার থানার তাজির উদ্দিনের ছেলে  সুমন আহমেদ ওরফে জুবায়ের (৩২)।নিহত জুবায়ের আলেখারচর মায়ামী হোটেলের কর্মচারী। নিহত জোবায়েরের বাবক খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে,পরে মামলাটি পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা শাখাকে হস্তান্তর করে এবং মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার এলঅাইসি টিমের চৌকুশ এস অাই পরিমল দাস,তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে দীর্ঘ ২ মাস তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাবহার করে  ২৩ জুলাই ভিকটিম জুবায়েরের ব্যবহৃত মোবাইল ব্যবহার কারী শাকিলকে কালিকাপুর  থেকে গ্রেফতার করে এবং শাকিলের দেয়া তথ্যের নগরীর অাশ্রাফপুর হতে ব্রাহ্মণপাড়া সিদলাইয়ের সিদলাইয়ের অাবু জাহেরের ছেলে ইকবাল ও  দেবিদ্বার মাশিগারা গ্রামের খোরশেদের ছেলে নূর অালমকে গ্রেফতার করে।অাসামী ইকবাল অাদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে। মামলা ও অাসামীদের  জবানবন্দী সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুলাই  লকডাউনের পর পুনরায় কাজের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি সুনামগঞ্জ হতে আলেখারচর মায়ামী হোটেলে আসে জুবায়ের। হোটেলের কাজ শেষে রাত্র অনুমান ১০টার দিকে জমজম হোটেল হইতে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে আলেখারচর মায়ামী হোটেলে আসার পথে রাত অনুমান ১০-১০.৩০টার  মধ্যে কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর  কোকা-কোলা কোম্পানী লিঃ ফ্যাক্টরীর মূল গেইট হইতে অনুমান ২০০ গজ দক্ষিণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী পূর্ব পাশে  রাস্তার উপর পৌছাইলে একদল ছিনতাইকারী তাহার গতিরোধ করে। ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা ভিকটিমের মোবাইল ছিনাইয়া নেওয়ার চেষ্টা করিলে ভিকটিম সুমন আহমেদ ওরফে জুবায়ের বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে এবং ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি ছিনাইয়া নিয়া যায়। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতের ফলে ঘটনাস্থলেই ভিকটিমের মৃত্যু হয়।

অাসামীগন যার যার মত চলে যায় এবং মোবাইলটি কালিকাপুরের শাকিলের কাছে বিক্রি করে, সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই অাসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিমল দাস জানান,মায়ামি হোটেল কর্মচারী খুনের ২ মাস পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহত জুবায়ের এর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খুনের সাথে জড়িত ২ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই এবং একজন খুনের বিষয়টি স্বীকার করে অাদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।অাদালতের মাধ্যমে খুনের সাথে সম্পৃক্ত ২ জন ও s ক্রয়কারী একজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছেমোবাইলই ধরিয়ে দিলো মায়ামী হোটেল কর্মচারী জোবায়েরের খুনিদের

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker