অপরাধ
১৬ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করেছে র্যাব

ফেনীর কাশিমপুর থেকে ১৬ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করেছে র্যাব
বিশেষ প্রতিনিধি :-
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় অপরাধী পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট করে বিপুল পরিমান সাপের বিষ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নোয়াখালী হতে ফেনীর দিকে আসছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ৯ জুন সকালে র্যাব-৭ এর একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন দক্ষিণ কাশিমপুর স্টার লাইন ফুডের পাশে মা দরবার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সামনে নোয়াখালী-ফেনী মহাসড়কের উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় নোয়াখালী দিক হতে র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি মোটর সাইকেলের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা মোটর সাইকেলটিকে থামানোর সংকেত দিলে মোটর সাইকেলটি র্যাবের চেকপোস্ট এর সামনে থামিয়ে মোটর সাইকেলে থাকা দুই জন আরোহী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামি মো. ইকবাল হোসেন (৩৫), পিতা-মৃত লতু মিয়া, সাং- পশ্চিম রুইয়া, থানা- সুধারাম, জেলা- নোয়াখালী’কে আটক করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানো ও সনাক্তমতে তার সাথে থাকা লাল রংয়ের শপিং ব্যাগের ভিতর একটি কাঁচের কৌটা হতে ২ পাউন্ড সাপের বিষ উদ্ধারসহ উক্ত নম্বর বিহীন মোটর সাইকেলটি জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, এ সময় ০১ জন আসামী সুকৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক আসামির নাম মো. রাশেদ (৩৫) পিতা- অজ্ঞাত, সাং- মধ্যম চররুইয়া, থানা- সুধারাম, জেলা- নোয়াখালী বলে জানায়।
র্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত সাপের বিষ বিশেষভাবে প্রক্রিয়াজাত করে শুকিয়ে পাউডার হিসেবে বিশেষভাবে তৈরি বায়ুরুদ্ধ কাঁচের পাত্রে সংরক্ষিত আছে এবং কাঁচের পাত্রটি খোলার জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। এর সাথে একটি ম্যানুয়ালও পাওয়া যায় যেখানে কাঁচের পাত্রটি রক্ষণাবেক্ষণের বিস্তারিত পদ্ধতি উল্লেখ আছে । আটককৃত আসামি র্যাব কে জানায় যে, এসব সাপের বিষ তারা বিদেশ থেকে চোরাই পথে আমাদানি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে। উদ্ধারকৃত সাপের বিষের আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি টাকা।





