আন্তর্জাতিকজাতীয়তথ্য প্রযুক্তি

সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছি না। দিতে গেলে দিস্তায় দিস্তায় মহাকাব্য হয়ে যাবে, শওকত হোসেন ভূঁইয়া

সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছি না। দিতে গেলে দিস্তায় দিস্তায় মহাকাব্য হয়ে যাবে, শওকত হোসেন ভূঁইয়াপ

পরিশ্রমের কাজ।

আপনি বাংলা-ইংরেজী পড়তে পারেন, মোবাইল চালাতে জানেন, হাতে মাল্টিমিডিয়া ফোন আছে, সস্তায় ইন্টারনেট আছে।
ইন্টারনেটে সব তথ্যই ওপেন।
কষ্ট করে গুগলে খুঁজলে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।
দেশীয় সোর্স গ্রহনযোগ্য মনে না করলে বিদেশী গার্ডিয়ান, দ্যা ইকোনমিস্ট, টাইমসের মতো সোর্স আছে।
ওখানেও যথেষ্ঠ নিরপেক্ষ তথ্য পাবেন।
এরপর এগুলো অন্যান্য সরকারের সময়ের সাথে তুলনা করুন।
উত্তর পেয়ে যাবেন।
আপনি শিক্ষিত, বিবেকবান। সিদ্ধান্ত আপনার।

উন্নয়নের বাইরে কিছু চিত্র দেখাই, মন দিয়ে খেয়াল করুন।
একশ পঞ্চাশ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ তিনশর অধিক আমলার প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা ঘোষনা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অর্জন।
নিজেরা প্রার্থী না হয়েও দেশের জনপ্রিয় সব তারকা শিল্পী স্বপ্রনোদিতভাবে প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে প্রচারনা চালায়, যা ইতিহাসে নজিরবিহীন।
মাশরাফি, সাকিবের মত বাংলাদেশ ক্রিকেটের মহাতারকারা জনপ্রিয়তা হারানোর বিন্দুমাত্র ভয় না করে নৌকার পক্ষে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
কি মনে হয় এগুলো?
মোহে পড়ে? জোর করে?
না, এগুলো শেখ হাসিনার ভালবাসার অর্জন।

যখন দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি প্রায় চার হাজার প্রথম সারির ব্যাবসায়ী নির্বাচনে শেখ হাসিনার উপর পূর্ণ আস্থা আনে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে, তার মানে দাঁড়ায় তাদের উপর নির্ভরশীল কোটি মানুষের আস্থা শেখ হাসিনায়।
সেই ক্যারিশম্যাটিক নেতা শেখ হাসিনা। রাজনীতিতে এই ক্যারিশমা সবার থাকে না।
যাদের থাকে তারাই জয়ী হয়।
বঙ্গবন্ধুর ছিল, তার কণ্যার আছে।

এগুলোর মানে কি ধরতে পারেন?
সোজা কথায় এগুলোর মানে হচ্ছে নৌকার আরেকটি গন জোয়ার, যে গন জোয়ার ৭০ এর নির্বাচনে এসে বাংলাদেশের মুক্তি এনেছিল।
৭০ এর সেই গন জোয়ার যদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক মুক্তি এনে থাকে তাহলে ২০১৮ র এই গন জোয়ার এনেছিল অর্থনৈতিক মুক্তি যার সূচনা হয়েছে ২০০৯ সাল থেকে।

কিন্তু এখনও আপনি ধূর্ত শেয়ালের এক কুমির ছানা সাতবার দেখানোর মত করে ঐ এক ব্যাঙ্ক লুট আর হলমার্কের মুখস্থ বুলি আউড়ে যেতেই পারেন।
কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন।
এই দেশেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এক সময় অসম্ভব মনে হয়েছিল।
জাতির জনকের খুনীদের বিচার রীতিমত অলীক কল্পনার মত ছিল।
পদ্মা সেতু ছিল রূপকথা।
কিন্তু শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় আজ তার সবই বাস্তব, ভোরের সূর্যোদয় আর আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের মত সত্য। শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছেন।
তাই আস্থা রাখুন, এক সময় এই ব্যাংক ডাকাতদেরও বিচার হবে।
ওয়াদা ভঙ্গ করা বঙ্গবন্ধুর রক্তে নেই।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker