শিক্ষাঙ্গন

চান্দিনার আবেদা নূর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠানে জোর পূর্বক সভাপতি হলেন ইউপি চেয়ারম্যান

চান্দিনার আবেদা নূর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠানে জোর পূর্বক সভাপতি হলেন ইউপি চেয়ারম্যান

প্রতিনিধি, চান্দিনা (কুমিল্লা)
কুমিল্লার চান্দিনায় আবেদানূর ফাউন্ডেশন নামে একটি দাতব্য সংস্থা পরিচালিত বিদ্যালয়ের এডহক কমিটিতে জোর পূর্বক সভাপতি হয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।

সরকারি গেজেট অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট লিখত আবেদন করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাশেতা নাহরীর হোসেন।

তার আবেদনের প্রেক্ষিতে বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিদ্যালয়ে তদন্তে যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কানিজ আফরোজ।

আবেদানূর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নাশেতা নাহরীর হোসেন জানান- আমার পিতা মরহুম ইরশাদুল হক বাংলাদেশ সরকারের একজন সচিব থাকাকালিন সময়ে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নিজের পৈত্রিক বসতভিটিসহ সকল সম্পত্তি আবেদানূর ফাউন্ডেশনকে দান করেন। পরবর্তীতে আশ-পাশের আরও সম্পত্তি ক্রয় করে ১৯৯২সালে আবেদানূর ফাউন্ডেশন নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। যা একটি ট্রাস্ট হিসেবে জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর দপ্তরে অন্তুর্ভূক্ত হয়। ওই ফান্ডেশনের অধীনে সেখানে একটি বালক ও একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, একটি কারিগরি কলেজ, হাফেজিয়া ও ফাজিল মাদ্রাসা, এতিমখান, মসজিদ ও ৩০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মা ও শিশু হাসপাতাল গড়ে তোলেন।

আমার পিতার মৃত্যুর পর আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে ফাউন্ডেশনটি তদারকির দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ২০১৯সালে আবেদানূর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় এবং চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। এই সুযোগে গত ২৫ জুলাই গল্লাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ১০-১৫জন সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষিকাকে অবরুদ্ধ করে জোর পূর্বক এডহক কমিটির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য বোর্ডে পাঠান। ২৭ জুলাই বোর্ড ‘সংস্থা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি’ অনুমোদনের নীতিমালা উপেক্ষা করে বোর্ড থেকে অনুমোদন নিয়ে আসেন। যা সম্পূর্ণ বে-আইনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সংস্থা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সংস্থার প্রধান বা তদকর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি হওয়ার কথা। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছি।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন জানান- বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদে আমি যেতে চাইনি। এলাকার লোকজন আমাকে জোর পূর্বক সভাপতি মনোনীত করেছে। আর বিদ্যালয়টিও ট্রাস্ট ভূক্ত নয়। আর যদি ট্রাস্ট ভূক্ত হয়ে থাকে তাহলে এলাকার লোকজন তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে।

চান্দিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কানিজ আফরোজ জানান- শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমি মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করেছি। বিদ্যালয়টি ফাউন্ডেশন বা ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত কিনা এ বিষয়ে আমি কাগজপত্র চেয়েছি। কাগজপত্র হাতে পেলে তদন্ত প্রতিবেদন বোর্ডে পাঠাবো।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker