জাতীয়

রোগী নয়, বস্তা ভর্তি গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিলো।

নগর জীবনের জীবনতরী যেন এম্বুলেন্স। মুমূর্ষু মানুষকে দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হয় এই যানটি। কোন কোন এম্বুলেন্সে পাওয়া যায় লাইফ সাপোর্ট সেবা। মনবিক বিবেচনায় হরতাল কিংবা পুলিশ চেকপোস্ট কোথাও বাধা পেতে হয় না এই যানে।যানজটের নগরীতে জীবন বাঁচানোর তাগিদে উল্টো পথে চলার রীতিও আছে এই চলন্ত হাসপাতালের। ফলে যে কোন আহত কিংবা অসুস্থ মানুষের জন্য এম্বুলেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এম্বুলেন্সের এই সুযোগের অপব্যবহার করতে শুরু করেছে মাদক ও চোরাই কারবারিরা।বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর তেমনি এক চক্র আটক হওয়ার খবর দিয়েছে ডিএমপি নিউজ। যে এম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী বহন করার কথা সেখানে পাওয়া গেল ৬ বস্তা গাঁজা! ৬ বস্তায় ৯৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন জনকে। তারা হল- মোঃ সবুজ (২৫), মোঃ মিলন(২৮) ও মোঃ জাহিদ হাসান(২৪)।পুলিশ জানিয়েছে, মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া পানির পাম্পের কাছে রাস্তা থেকে গাঁজাগুলো উদ্ধার করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের ধরতে মাঠে নামে গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (দক্ষিণ) বিভাগের অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের একটি দল।এম্বুলেন্সটি কাছাকাছি আসলে পুলিশ থামার ইশারা দেয়। কিন্তু ইশারা না মেনে গাড়িটি দ্রুত গতিতে চলে যেতে থাকে। এ সময় এম্বুলেন্সটিকে পিছু ধাওয়া করে গোয়েন্দারা। এক পর্যায়ে মোহাম্মদপুর টিকাপাড়া পানির পাম্পের কাছে এসে তাদেরকে পাকড়াও করতে সমর্থ হয়।গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত লেনিন বলেন, এম্বুলেন্সে করে সীমান্ত এলাকা হতে গাঁজা নিয়ে এসে ঢাকা ও তার আশপাশ এলাকায় সরবরাহ করা হত। আটককৃতরা এ্যাম্বুলেন্সে করে গাঁজা নিয়ে যাতায়াতের সময় তাদের এম্বুলেন্সের সামনে একটি এস্কর্ট পার্টি রাখে।তিনি জানান, যারা রাস্তা ক্লিয়ার দেয়। এভাবে তারা একের পর এক চেকপোস্ট এড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যায়। এ চক্রের সাথে জড়িত তিন জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker