আন্তর্জাতিক
আমফানে নিহত ৭২, পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার

আমফানে নিহত ৭২, পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার
দেবব্রত রায় চৌধুরী, কোলকাতাব্যুরো, প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গ। কলকাতা-সহ হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীণ। ঘটেছে বহু প্রাণহানি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বৈঠকের পর জানান, এখনও পর্যন্ত মোট ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার ১৫ জন। হাওড়ার ৭, উত্তর ২৪ পরগনার ১৭, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬, চন্দননগরের ২, বারুইপুরে ৬, ডায়মন্ড হারবারে ৮ জন, রানাঘাটে ৬ এবং সুন্দরবনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারপিছু আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
গোটা দক্ষিণবঙ্গ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে বুধবার নবান্নের কন্ট্রোলরুম থেকে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবারও টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পর আমফানের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন তিনি। এমন ঘূর্ণিঝড় দেখেননি বলেই জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাজ্যে এসে ঝড়ের ভয়াবহতা খতিয়ে দেখার অনুরোধও করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই অমিত শাহর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তিনি কেন্দ্রকে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। আদৌ কেন্দ্রের থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায় কি না সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আমফানের দাপটে উপড়ে গিয়েছে শহরের একাধিক গাছ। তার ফলে বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তাঘাট। ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি। ছিঁড়েছে তার। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত পরিষেবা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে এলাকাভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সমস্যা সমাধান করার উপায়ও বাতলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী পাঁচ-সাতদিনের মধ্যে যাতে গোটা রাজ্য আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে, সেই ব্যবস্থা করার কথাও বলেছেন তিনি। আমফানের কারণে প্রচুর গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও বেশি সংখ্যক গাছ লাগানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনওভাবেই হাতি বেড়িয়ে এলাকায় ঢুকতে না পারে, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।





