আন্তর্জাতিকজাতীয়ফিচার

দেশে সাধারন জনগন করোনাকে উপেক্ষা করে দিব্যিতে বিচরন করছে মোঃ দেলোয়ার আহমেদ।

দেশে করোনার চিকিৎসা গতিশীল হচ্ছে কিন্তু সাধারন জনগন করোনাকে উপেক্ষা করে দিব্যিতে বিচরন করছে মোঃ দেলোয়ার আহমেদ।

 ১। ৩৫টি ল্যাবে করোনা সনাক্তকরণ পরীক্ষা চলছে। সামনে আরো কিছু যোগ হবে। হয়ত আমরা সর্বোচ্চ ১০০০০ করে টেস্ট করতে পারব প্রতিদিন। 

২। ২০০০ নতুন চিকিৎসক, ৫০০০+ নার্স, বেশ কিছু ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্ট ও স্টাফ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

৩। বসুন্ধরা আইসোলেশন সেন্টার এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে।

৪। এছাড়া হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট কে হাসপাতালে রূপান্তর প্রভৃতি অনেক কাজ শেষের পর্যায়ে। সরকার থেকে নতুন ডাক্তার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তারা কাজ শুরু করবে। 

৫। ঢাকা মেডিকেলের নতুন ভবনে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সমন্বয়ে জটিল রোগীদের চিকিৎসা শুরু হবে এই সপ্তাহেই। 

৬। FDA approved নতুন এন্টিভাইরাল ড্রাগ রেডমিসিভির অনেক দামী হওয়া সত্ত্বেও সরকার তা মানুষের চিকিৎসার জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৭। জেলায় জেলায় করোনার চিকিৎসা গতিশীল হচ্ছে। মানুষ এটাকে বুঝতে শিখেছে। উপজেলার নবীন চিকিৎসকগণ দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অনেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন, সুস্থ হয়ে আবার কাজে নেমে পড়েছেন। দেশের ৪৯০+ উপজেলায় করোনা চিকিৎসা নিয়ে কোন ধরনের সমস্যা নেই। কর্তাব্যক্তিরা চিকিৎসকদের ব্যাপারে কিছুটা উদাসীন হলেও রোগীদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। 

৮। দেশে আন অফিসিয়ালি আজকে ৭১ তম দিন। অফিসিয়ালি ৬৪ তম দিন। মৃত্যু হার এখনো খুব বেশি না। আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়বেই, কারণ সরকার যখন ছুটি দিল আমরা তখন ঘরে বসে থাকি নাই। ১৪ দিন বাসায় থাকলে এমন কিছুই হত না। আমাদের দেশের মানুষের আয় এবং সঞ্চয় এখন এমন পর্যায়ে আছে যে, ২ সপ্তাহ যেকোন পরিবার চলতে পারত অনায়াসে। আমরা সেটা করি নাই। সরকারের দোষ ধরায় ব্যস্ত থাকি, কিন্তু নিজের কাজটাই ঠিকমতো করি না।

করোনার সাথে যুদ্ধ এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে না। করোনাকে সাথে নিয়েই আমাদের এবং সারা বিশ্বের সবাইকে চলতে হবে। মাসের পর মাস সবকিছু বন্ধ রাখা যাবে না। কোন দেশই তা পারবে না। সরকার শুরুতে করোনার তীব্রতা বুঝতে পারে নাই, তেমনি আমরাও সাধারণ ছুটিতে ঘরে থেকে নিয়মটা মানতে পারি নাই। নিজেরা যদি সচেতন হতাম, সংক্রমণ অনেক কম হত। এখন সব মাখামাখি হয়ে গেছে, সংক্রমণ বাড়তেই থাকবে। আস্তে আস্তে হয়ত কমে আসবে।

এই মূহুর্তে শুধু একটাই বড় সমস্যা, করোনা বা কোভিড-১৯ ছাড়া সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। করোনায় যত না রোগী মারা যাচ্ছে তারচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে অন্য রোগে। শুধু রোড এক্সিডেন্টের প্রতিদিনের ৫০/৬০ টা জীবন বেচে যাচ্ছে। যদিও সারাবিশ্বে এখন আউটডোর চিকিৎসা ও সাধারণ সার্জারি বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে, তারপরও সামনে চিকিৎসা চালু করতে হবে। কিভাবে করতে হবে, এখন সেটাই বিষয়। সব রোগীর করোনা টেস্ট করে এপেন্ডিক্স অপারেশন করা যাবে না, যাবে না হৃদরোগের চিকিৎসা করা। 

তাই এই ব্যাপারে আমাদের নজর দেওয়ার সময় চলে আসছে। টেলিমেডিসিনের সাহায্য সব চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব না। যতটুকু সম্ভব তারচেয়ে অনেক বেশি দিচ্ছেন চিকিৎসকরা, এবং ৯৯ শতাংশই ফ্রি, যেটা বিশ্বের কোন দেশে নাই। 

করোনাকে সাথে নিয়েই হয়ত আমাদের আরো বেশ কিছুদিন চলতে হবে। মনকে সেভাবেই তৈরি করতে হবে, নিজের ও পরিবারের জন্য সেভাবেই সাবধানতা অবলম্বন করতে দেশ-বিদেশের সকলের প্রতি আহবান জানান চান্দিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও দুবাই আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক সৎ নিষ্ঠাবান জনাব মোঃ দেলোয়ার আহমেদ।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker