আন্তর্জাতিক
প্রবাসে সাংগঠনিক তৎপরতা ও মূল্যবোধ

নিয়ামত উল্লাহ, জেদ্দা, সৌদিআরব:
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে প্রবাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে সাথে জড়িত হয়ে কি লাভ? প্রবাসে এসেছে শুধু কামলা খাটতে, দেশে টাকা পাঠাতে।
তাও ভাবতে পারেন নিশ্চয়ই সংগঠন মানে ধান্দাবাজি অথবা অর্থ উপার্জনের একমাত্র পন্থা। জ্বি না মোটেও তা না।
প্রকৃত পক্ষে যারা প্রবাসে বসবাস করে তাহারা বিভিন্ন পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে সর্বদা বঞ্চিত থাকে।
শুধু তাই নয় প্রবাসীদের উপেক্ষা করে দেশের মানুষ নিজ ইচ্ছামতে পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের অর্থ ব্যায় করে এবং নূন্যতম কৃতজ্ঞতা টুকু স্বীকার করতে কৃপণতা বোধ করে। অধিকাংশ অনুষ্ঠানের অর্থই প্রবাসীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে আদায় করা হয়। প্রেরিত অর্থে দেশের পরিজনেরা আনন্দ, বিলাসিতা করলেও প্রবাসীরা নিরানন্দিত হতাশা গ্রস্ত অবস্থা নিজেকে কর্মমুখী করে রাখে।
প্রত্যেকই তাদের নির্ধারিত কর্ম সম্পাদন করার পর কোথাও কোন সামাজিক রাজনৈতিক অথবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আবাস পেলে অতি উৎসাহের সাথে পৌছে যায়। স্বদেশী লোকজনের উপস্থিতিতে নিমেষেই একটি পারিবারিক পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। কৌশল মঙ্গল বিনিময়ের মাধ্যমে একে অপরের ক্লান্তি ছাপ দূর করে আনন্দে মেতে ওঠে।
আন্তরিকতার সহিত একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে তৈরি করে ভাতৃত্বের বন্ধন।

প্রবাসে এসেও যারা দেশকে এবং দেশের সাংস্কৃতি কে হৃদয়ে লালন করে শুধু তারাই বিভিন্ন সাংগঠনিক তৎপরতার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিছু সংখ্যক দুস্কৃতি লোক ব্যতিত।
জয় হোক প্রবাসী বাঙ্গালীদের সংস্কৃতির, জয় হোক মানবতার।





