ফিচার

“মোশতাকের ভাতিজা বা রশিদের ভাই নই; এসেছিলাম মানুষের সেবা করতে।

‘কুমিল্লার মানুষ হওয়াটাই কি তার অপরাধ?

কুমিল্লায় কি শুধু কর্নেল রশিদ আর খন্দকার মোশতাক জন্ম নিয়েছেন?

 

“মোশতাকের ভাতিজা বা রশিদের ভাই নই; এসেছিলাম মানুষের সেবা করতে।

 

বাংলাদেশের মানুষকে সেবা দিতে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকার আজ রবিবার বিকালে কাতার এয়ারওয়েজের চার্টার্ড ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পরে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে কোয়ারেন্টিনে নিয়ে যায়। তিনি সঙ্গে নিয়ে এসেছেন করোনাভাইরাসে সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। এর মাঝেই দেশে একটি মহল তাকে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের স্বজন বলে দাবি করছে। সোশ্যাল সাইটে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন ডা. ফেরদৌস।

 

তিনি লিখেছেন,

প্রিয় বাংলাদেশ। দেশে এসেছিলাম নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনা নিয়ে সবার পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে। তার জন্যে জীবনের ঝুঁকি নিতেও আমি পিছপা হইনি। যখন ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে আমি দেশে এসেছি, তখন একদল লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, আমি নাকি খুনি খন্দকার মোশতাকের ভাতিজা কিংবা খুনি কর্ণেল রশিদের খালাতো ভাই।

 

অথচ পুরো বিষয়টি কাল্পনিক। আমার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে। কুমিল্লায় বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের বাড়ি। কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য জেলা। কুমিল্লায় বাড়ি হলেই কেউ খুনি মোশতাকের ভাতিজা কিংবা কর্নেল রশিদের খালাতো ভাই হয়ে যায় না। আমি স্পষ্ট করে বলছি, এই দুই খুনির সাথে আমার পারিবারিক কিংবা আদর্শিক কোন সম্পর্ক নেই।

 

বরং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি ,তাদেরকে চরম ঘৃণা করি। ফলে যারা এই খারাপ কথাগুলো ছড়াচ্ছেন, বলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার; ভালো কাজে বাধা দেয়া। এটা অন্যায়। আমি তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রমাণের জন্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। যদি মনে করেন আমার সেবা আপনাদের দরকার, তাহলে পাশে থাকুন।

 

এর কিছু সময় আগে আরেকটি স্ট্যাটাসে ডা. ফেরদৌস লিখেন, জানিনা কেন আমাকে নিয়া এসব অপপ্রচার চলছে। আমি বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আত্মীয় না, আমার কোন আত্মীয় বঙ্গবন্ধুর খুনীদের আত্মীয় না। আমি এমপি বা মিনিস্টার হতে আসিনি, আমি চেয়েছি বাংলাদেশের মানুষকে সেবা করতে। আমার শিক্ষা এবং মেধা মানুষের কাজে লাগাতে। সেটা যদি অপরাধ হয় আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে অপমান করবেন না। এটা আমার প্রাপ্য না।

 

সূত্র : দৈনিক কালের কন্ঠ

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker