চান্দিনারাজনীতি

ধানমন্ডি পার্টি অফিস থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম নিলেন Rtn Mozibur Rahman

চান্দিনা উপনির্বাচন

ধানমন্ডি পার্টি অফিস থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম নিলেন Rtn Mozibur Rahman

আগামী ৭ই অক্টোবর ২০২১, চান্দিনা (কুমিল্লা -৭) আসনের উপনির্বাচনে আমি চান্দিনার সকল জনগনের নিকট “আমি যেন নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাই” সে জন্য দোয়া চাচ্ছি। বঙ্গকন্যা, জননেত্রী,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দিবেন আমি তার পক্ষে সকলকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করছি তবে, কোন রাজাকারের মেয়ের জামাই, খুনী কর্নেল রশীদের আত্মীয়কে মনোনয়ন দিলে আমি তা মেনে নিবো না এবং কেউ মেনে নিবেন না, ৭৫-এর পর নিজের জীবন বাজি রেখে রক্ত দিয়ে আওয়ামীলীগকে চান্দিনায় জীবিত করেছিলাম কি জন্য? আমি মাননীয় নেত্রীকে অনুরোধ করবো, আপনার নিকট চান্দিনার বিষয়ে সঠিক তথ্য নেই, আপনি দয়া করে প্রকৃত আওয়ামীলীগের উপযুক্ত প্রার্থীকে বা একটা কর্মীকে মনোনয়ন দিন, মেনে নিবো। কিন্তু কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারী, দূর্নীতিবাজ, চোর পরিবার লীগের কাউকে মনোনয়ন দিবেন না,চান্দিনার জনগণ তা চায় না এবং মেনে নিবে না। আওয়ামীলীগের চান্দিনায় আজ খুবই দূরাবস্থা চলছে, তদন্ত করুন, এরা তো এখনই দেশ ছেড়ে পালাবে, এরা কারা, এদের পরিচয় কি?
নেত্রীর সঠিক সিদ্ধান্ত হলে, চান্দিনা হবে আওয়ামীলীগের একটি সুকঠিন দুর্গ । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জনগণ আজ একজন আদর্শবান প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর সৈনিককে চায়, বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে দেশ জাতির কল্যাণে যিনি তুলে ধরতে সক্ষম হবেন,আপনি এমন একজনকে মনোনয়ন দিন, চান্দিনার আওয়ামীলীগকে বাঁচান। কথায় আছে, “সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের হাজার ফোঁড় অপেক্ষা উত্তম”।
রাজনৈতিক পরিচয়ঃ
#############
নামঃ মোঃ মজিবুর রহমান( দিলরাজী)
এলএল বি( অনার্স) এলএল.এম (ফার্স্ট ক্লাস) ১৯৬৬ ইং সনে তিনি দোল্লাই নবাবপুর এলাকার,( চান্দিনা,কুমিল্লা) অন্যতম সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ওমরাহ হজ্জ পালন করেন।
রপ্তানিযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গবেষক,সংবিধান ও আর্থ সামাজিক বিষয়ে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ হিসাবে জ্ঞান রাখেন,ঐতিহাসিক তথ্য পূর্ণ, ঘটনা সমূহ তাহার জানা আছে, তিনি শিল্পকারখানা স্হাপন বিষয়ে পরামর্শক হিসাবে কাজ করেন,ল্যান্ড ও নির্মাণ ব্যবসার সাথে তিনি জড়িত আছেন। অনলবর্ষী বক্তা, ৮০ ও ৯০ এর দশকের চান্দিনার মাঠ কাঁপানো ছাত্র নেতা,চান্দিনার একমাত্র কলেজ “দোল্লাই নবাবপুর কলেজ” ৮১- ৮৪পর্যন্ত কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, ‘৮০সালে “দোল্লাই নবাবপুর আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের” তিনি নির্বাচিত এসএস ছিলেন, ১৯৭৮ সালে তিনিই প্রকাশ্যে ১৫ই আগস্ট শোকদিবস পালন করেন, দোল্লাই নবাবপুর কলেজ মাঠে। ৮১-৮৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের রাজনীতি করার জন্য তিনি তিনবার রক্তান্ত আহত হয়েছিলেন। তিনি ১৭ই মে ১৯৮১ ইং বঙ্গকন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বাংলাদেশে আগমনের দিন, ছাত্রলীগের কুমিল্লা জেলা নেতাদের সাথে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে এসেছিলেন। ৮৬ সালে চান্দিনা থানা আওয়ামীলীগের দুইজন নেতাকে গুমকরে হত্যার পর নিজের জীবন বাঁচাতে ‘৮৮ সালে তিনি সংসদ নির্বাচনে মাত্র ২২বছর বয়সে অংশ গ্রহন করেন, ‘ ৯১ সালে ও তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন। তিনি পল্লবী মিরপুর বসবাস করেন, এখানে তিনি সময় পেলেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সংযুক্ত হন। তিনি ” বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন” (ওমর ফারুক চৌধুরীর কমিটিতে) কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে,দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার জন্য একটিভ হতে পারেননি। তিনি একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবি বটে। তিনি এলাকায় দানবীর হিসাবে পরিচিত। তিনি আফরোজা ইয়াসমিন হেনা (১৯৯৬-৯৭ ব্যাচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই পুত্র ও তিনকন্যা সন্তানের জনক। সদালাপী, মিসুক দুঃখী মানুষের অতিপ্রিয় পাত্র,তিনি অসংখ্য মানুষের উপকার করেছেন।
পিতাঃ মরহুম আলী আহমেদ প্রধান, ১৯৬৯ সালে গণ আন্দোলনের সময়ে “রাষ্ট্রদ্রৌহী মামলায় গ্রেফতার হন” ৩ মাস ১৪ দিন জেলে ছিলেন,সেই সময়ে কুমিল্লা জেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে নিলে তিনি বঙ্গবন্ধুর খেদমত করেন,তিনি ব্যক্তিগতভাবেই বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন ছিলেন, ২০১১ সালে মৃত্যুবরন করা পর্যন্ত তিনি আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাছিলেন। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ২০০১ সালেসহ চারবার কারাবরণ করেন। তিনি আজীবন আওয়ামী লীগ করার কারণে,বর্তমান বাজার মুল্যে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।
মাতাঃ এফ খানম ফুলজান ১৯৭৪ ইং সনের ২৫ শে আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker