জেলার খবর

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা কয়েক শত পরিবার হুমকির মুখে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক।

তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা কয়েক শত পরিবার হুমকির মুখে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক।

 

আল-আমিন খান লিমন:-

 

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের শেষ সীমানা চর বজরা ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগন্জ উপজেলার শেষ সীমানা লখিয়ার পাড়া,তিস্তা  নদীর তীব্র ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ৪ টি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার পরিবার। তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে রয়েছে কাশিমবাজার থেকে-উলিপুর যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসনের কাছে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেও কোনও সাড়া পায়নি ভাঙনের শিকার নদী তীরবর্তী গ্রামের অধিবাসীরা।

 

সরেজমিনে,সুন্দরগন্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, কাশিমবাজার-উলিপুর সড়কের মাত্র ৭০ মিটার পশ্চিমে নদীর অব্যাহত ভাঙনে ট্যাবরীর মোড় নামক এলাকায় দিশেহারা মানুষ, শেষ সম্বল টুকু অন্যত্র সরিয়ে নিতে হিমসিম খাচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রায় কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, অনেকেই অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন।হুমকির মুখে রয়েছে এখানকার কয়েক শত পরিবার,চলাচলের একমাত্র সড়ক,মসজিদ ও একাধিক সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ এলাকার ঐতিহ্যবাহী হাট কাশিমবাজার।

 

তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে একেবারে বিলীন হয়েছে আরো কয়েকটি গ্রাম। বসতভিটা হারিয়ে অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছে তারা। যেকোনও সময় নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার হুমকিতে থাকা কেউবা ভিটেমাটি ও গবাদি পশু হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে নিজেরাই কাধে নিয়েছে হালের বোঝা। কয়েক বছর ধরে ভাঙনের শিকার এই মানুষগুলোর অভিযোগ, এখন পর্যন্ত ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারি কোনও সহায়তা পাননি তারা।

লখিয়ার পাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম,বেলাল,

আমিনুল ইসলাম, আঃজব্বার,আঃখালেক, মাইদুল ইসলাম পাড়াসাদুয়া  গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম,ইলিয়াস,রন্জু ইসলামসহ অনেকেই বলেন এ ভাঙন প্রতিরোধে সরকার এই মহুর্তে কোন পদক্ষেপ না নিলে,এলাকার মানুষ চরম বিপাকে পড়ে যাবে,ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ ও চলার একমাত্র রাস্তা,তাই তারা গরীব এই জনপদ কে তিস্তার ভয়াল কবল থেকে রক্ষা করতে সরকারের কাছে আকুল আবেদন করেন।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker