
প্রচ্ছদ মতামত বিবিধ সফলতা–ব্যর্থতা এসএসসি পরীক্ষায় যারা ফেল করছে।
লেখক মেহেদী হাসান রনি
এই ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের কেউ কেউ হতাশা, গ্লানি, ক্ষোভে আত্মহত্যা করার অনেক রেকর্ড আছে।জীবন কখনোই কারও জন্য কেবলই কমেডি ছিল বা থাকবে তেমনটি নয়, মাঝেমধ্যে ট্র্যাজেডিও নেমে আসে।
জীবন হচ্ছে সফলতা-ব্যর্থতার পালাবদলের এক অবিরাম ধারা। কোনো একটি কাজে ব্যর্থ হওয়া মানে শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এ জন্য আত্মহত্যা করাটা বোকামি। পরীক্ষায় ব্যর্থতা বা যেকোনো ব্যর্থতার পর কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, কেউ তীব্র নেতিবাচক আবেগে বিস্ফোরিত হয় (এরাই আত্মহত্যার চেষ্টা নেয়), আবার কেউ সাময়িক আপসেট থাকে মাত্র। কে কোন ধরনের আবেগীয় প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা অনেক দেহ-মনো-সামাজিক কারণের ওপর নির্ভর করে।
যারা পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে তাদের মনে রাখা ভালো, পৃথিবীর অনেক সফল, বিখ্যাত ব্যক্তি পড়াশোনায় তেমন ভালো করতে পারেন নি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন, স্টিভ জবস, বিল গেটস, এমনকি আইনস্টাইন।
এ জন্য সফলতা অর্জনের জন্য পরিক্ষার রেজাল্ট পর্যন্ত সীমিত নয়, বরং চ্রেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, সমাজের নানান মুখে নানান বুলি শুনে ঘরে থাকলে চলবে না, বাহিরে যেতে হবে পথিক পথ চেনে, আর লক্ষ্য ঠিক থাকলে অর্জন হবেই।





