তথ্য প্রযুক্তি

মাধুরীর নামে অরুণাচল রাজ্যের সাংগেজা লেক

মাধুরীর নামে অরুণাচল রাজ্যের সাংগেজা লেক

********************************

ভারতের অরুণাচল প্রদেশ থেকে গাড়িতে দুই থেকে তিন ঘণ্টার দূরত্বে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত তাবাং। এককথায় বলা যায় অপূর্ব স্বর্গোদ্যান। সেখান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিখ্যাত সাংগেজা লেক। চলতে চলতে উপভোগ করা যায় তুষারাবৃত পাহাড়, তুষারস্রোত, জলজ প্রাণী।

 

সাংগেজা লেকে যাওয়ার সড়ক শুরু হয়েছে জেমিঠাং থেকে। এরপর ৫২টি বাঁকা স্থান রয়েছে। বোঝা যাচ্ছে, সড়কটি মোটেও মসৃণ নয়। সরু পাথুরে রাস্তা বরং বন্ধুর। তাই হ্রদে যাওয়ার আগে তাবাংয়ের ডিস্ট্রিক্ট কমিশনারের কার্যালয় থেকে বিশেষ অনুমতি চাইতে হয়।

 

১৯৭৩ সালে ভূমিকম্পের ফলে হ্রদটি সৃষ্টি হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৩ হাজার ৭০৮ মিটার। হ্রদের মাঝখানে অনেক মৃত গাছ রয়েছে। শীত মৌসুমে সাংগেজা লেক শুকিয়ে বরফ হয়ে যায়। এর ওপর সূর্যের আলো কমলা-নীল রঙ ধারণ করে। ফলে এই সময়ে হ্রদটি দেখতে আরও সুন্দর লাগে।

 

মাধুরী লেকে যাওয়ার সড়ক থেকে দেখা যায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

হ্রদটির ডাকনাম হলো মাধুরী লেক। নব্বই দশকে শাহরুখ খান ও মাধুরী দীক্ষিতের ‘কয়লা’ ছবির একটি গানের শুটিং হয় সেখানে। গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। একইসঙ্গে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায় লেকটি। এরপর থেকেই এই হ্রদকে ডাকা হতে থাকে মাধুরী লেক। এরপর থেকে সেখানে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। বলিউডপ্রেমীরা মাধুরী লেকের বিস্ময়কর সৌন্দর্য উপভোগ করতে যান।

 

হৃদটির সৌন্দর্য দেখতে কঠিনযাত্রার প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত খাবার পানি সঙ্গে নিতে হবে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে রওনা দিলে ভালো। বিপুল পর্যটক সমাগম এড়াতে চাইলে জুলাই মাস সেখানে যাওয়ার জুতসই সময়। তাবাং থেকে যানবাহন ভাড়া করে সাংগেজা লেকে বেড়াতে যেতে পারে ভ্রমণপ্রেমীরা। হ্রদের খুব কাছে পার্কিংয়ের জায়গা আছে।

 

মাধুরী লেকের কাছেই ভারতীয় সেনা ক্যাম্প আছে। সেখানে পর্যটকরা হাতমোজা, জুতা, জ্যাকেট প্রভৃতি সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারেন। সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত রিফ্রেশমেন্ট স্টলে পরিমিত দামে চা-কফি, ম্যাগি নুডলস ও অন্যান্য স্ন্যাকস মিলবে। তবে সেখানে কোনও বিদেশি পর্যটকের যাওয়ার অনুমতি নেই।

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker