চান্দিনাজাতীয়

রাজনীতির মহাকাব্যের মহাকবি অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ

রাজনীতির মহাকাব্যের মহাকবি
অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ
*************************-*********
১৯৬২ সাল। সারাদেশে শিক্ষা আন্দোলন চলছে। তিনি তখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের ছাএ। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ছাএলীগে যোগদান এবং শিক্ষা আন্দোলনে কুমিল্লার প্রথম সারির নেতা ছিলেন। তিনি বৃহওর কুমিলা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। ১৯৬৬ ছয় দফা, ১৯৬৯ অসহযোগ আন্দোলন, ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে তিনি হয়ে ওঠেন চান্দিনা থানা আওয়ামীলীগের একক নেতা।
চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ একদিনে সংগঠিত হয়নি। সাবেক ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ দীর্ঘ ৫৮ বছর তিলে তিলে শ্রম দিয়ে, ঘাম দিয়ে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করেছেন।
চান্দিনার প্রতিটি ঘর থেকে ঘর, বাড়ি থেকে বাড়ি, গ্রাম থেকে গ্রামের আলপথ দিয়ে তিনি হেঁটেছেন। এমন একটি ঘর নেই,এমন একটি বাড়ি নেই যে মানুষকে তিনি চেনেন না। তাঁর সবচেয়ে বড় গুন ছিলো ধনী গরিব সবার সাথে তিনি মিশতেন এবং সবার নাম ধরে ডাকতেন। তিনি শতশত মানুষের নাম মনে রাখতে পারতেন। তিনি হেঁটে গেলেই শতশত মানুষের মিছিল হয়ে যেতো। ছবিটি কোন মিছিল নয় এটা মানুষের ভালোবাসার সেতুবন্ধন।
আওয়ামী লীগের দু:সময়ে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও সভানেত্রী জননেএী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। তারপরও বিএনপি, ফ্রিডম পার্টির সাথে আপোষ করেননি।
৷৷৷৷ ৷৷৷৷৷৷৷৷ তিনি চান্দিনার উন্নয়নে মহাকাব্য রচনা করেছেন। তাই তিনি রাজনীতির মহাকবি। তাঁর ছবি ভাঙা যাবে, পোস্টার ছেঁড়া যাবে। কিন্তু সাবেক ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলী আশরাফকে মানুষের মন থেকে মোছা যাবে না।
ইতিহাসকে মুছেফেলা যায় না। সত্যিকারের ইতিহাস একদিন কথা বলবেই। যতোই তাঁর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হবে, ততোই তিনি আরো সমৃদ্ধ হবেন। যতোই তাঁর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হবে ততোই তিনি আলোকিত হবেন। যতোই তাঁর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হবে, ততোই তিনি ঋদ্ধ হবেন মানুষের ভালোবাসায়।

Close