জাতীয়

ডা. ফেরদৌসের মাস্ক, গ্লাভসের ৮ সুটকেস আটকে দিলো কাস্টমস

ডা. ফেরদৌসের মাস্ক, গ্লাভসের ৮ সুটকেস আটকে দিলো কাস্টমস

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ডা. ফেরদৌস রবিবার (৭ জুন) বিকালে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। তার অভিযোগ, সঙ্গে আনা ৮টি সুটকেস আটকে দিয়েছেন কাস্টম কর্মকর্তারা। মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই ভর্তি এসব সুটকেসের জন্য শুল্ক দাবি করে আটকে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৮ জুন) সকালে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন তিনি।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি, মাস্ক, সুরক্ষা পোশাকসহ ১২ ধরনের পণ্য আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক-কর অব্যাহতি দিয়ে ২২ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব পণ্য আমদানিতে আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট, আগাম ভ্যাট ও অগ্রিম কর দিতে হবে না। ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

ফেসবুক লাইভে ডা. ফেরদৌস বলেন, ‘৮টি স্যুটকেস নিয়ে এসেছিলাম। বেশকিছু মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ইত্যাদি সামগ্রী এনেছিলাম ডাক্তার-নার্সদের দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিমানবন্দরে আটকে দিলো, ট্যাক্স দিতে হবে। রেখেই দিলো। আনতে পারিনি। আপনাদের কেউ যদি থাকেন ছাড়াতে পারবেন। ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ফ্রন্টলাইনের যে কাউকে দিতে পারেন। আমার কোনও দাবি, আমি এসেছি আপনাদের পাশে, আমি কাজটুকু করতে চাই। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ পারেন ছাড়িয়ে সেসব যেকোনও একটি হাসপাতালে দিয়ে দিতে পারেন। আমার কোনও দাবি নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সোলাইমান হোসেন বলেন, প্রতিদিনই অনেক কিছুই জব্দ হয়, তার (ডা. ফেরদৌস) কী জব্দ হয়েছে, কেন হয়েছে সেটা আমার জানা নেই। জেনে বলা যাবে কী হয়েছে। তবে পরবর্তীতে একাধিকবার টেলিফোন করলেও ফোন ধরেননি সহকারী কমিশনার সোলাইমান হোসেন। এক ঘণ্টা পর আবার ফোনে জানান, তিনি সে সময় ডিউটিতে ছিলেন না। দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি বলতে পারবেন কী হয়েছিল।

এদিকে রবিবার বাংলাদেশে আসার পর ডা. ফেরদৌসকে রাজধানীর ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker