চান্দিনা

চান্দিনার সাতগাঁও বীরমুক্তিযোদ্ধার বসতভিটায় বিষধর সাপের আস্তানা

আলিফ মাহমুদ কায়সার,কুমিল্লা প্রতিনিধি ঃ

চান্দিনার সাতগাঁও বীরমুক্তিযোদ্ধার বসতভিটায় বিষধর সাপের আস্তানা

আলিফ মাহমুদ কায়সার,কুমিল্লা প্রতিনিধি ঃ

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের উত্তর কৃষ্ণপুর এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুর ছাত্তারের পুরাতন বসতঘরের ভিটায় অসংখ্য বিষধর সাপের বাচ্চার সন্ধান পাওয়া গেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গত ১৪ অক্টোবর বুধবার সকালে চেয়ারম্যান এর পুরোনো বসতভিটায় চলাফেরা করার সময় আবদুস ছাত্তার চেয়ারম্যান এর বড় ছেলে মিজানুর রহমান ঘরের পাশে এক জোড়া বাচ্চা সাপ দেখতে পায়।
সাপের বাচ্চা দেখে তখন সন্দেহ হয় যে, ঘরের কোথাও সাপে বাচ্চা ফুটিয়েছে। সেই ধারণা থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে ঘরের মেঝে খোঁড়া শুরু হয়।
মাটি খুঁড়ে সেখানে একাধিক সাপের বাচ্চা বের হয়ে আসছে। বাচ্চাগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছিল। পরে ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়ে একে একে সব সাপ মারা হয়।এ সময় বেশ কিছু সাপের ডিমও ধ্বংস করা হয়।
একপর্যায়ে সাপের আস্তানার সন্ধান মেলে। সাপের আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর ৬ ফুট লম্বা একটি বড় গোখরা সাপ ফুঁসে ওঠে। তখন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাপটি মারা সম্ভব হয়। এ সময় গর্তের মধ্যে থাকা অসংখ্য সাপ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩০-৩৫টি সাপ মারা হয়েছে।
এদিকে গত পরশু চেয়ারম্যান স্থানীয় ওঝা এনে ৫-৬ ফুট লম্বা বিষধর সাপ ধরা দেওয়ার ফলে ওঝা সেখানে সাপের আস্তানা থাকার কথা জানিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে চান্দিনার স্কাউট কমিশনার সুলতান আহমেদ স্যার বলেন সাপের সন্ধানের খবর শুনে আমরাও আবদুর ছাত্তারের বাড়িতে ছুটে যাই। তখন আমরাও সাপ মারতে শুরু করি।
তবে ছাত্তার চেয়ারম্যানের বাড়ীর পশ্চিম পাশে ডাক্তার সোলাইমান এর বিশাল মাছের প্রজেক্ট থাকায় ঐখানে সাপের বড় খোলশ পাশে দেখতে পাই।সেখানেই সাপের মূল আস্থানা আছে বলে অনেকে ধারনা করেন।
এ ধারনায় নিকটাত্মীয় পানজেত আলী বলেন মাছ ধরার জন্য তার পাতাজালে তিনটি বিষধর সাপ আটকা পড়ে মারা যায়।
এ প্রসঙ্গে বাড়ীর মালিক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছাত্তার ভয়ভীতির মাঝে পরিবার পরিজন নিয়ে পার্শ্ববর্তী অন্যের বাড়ীতে বসবাস করছে।
তিনি স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা সহ দৃষ্টিগোচর হয়ে সাপমুক্ত করার জন্য সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।

Close