জাতীয়

৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে:

৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে:

বিদ্যুৎ সচিব।

 

আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিভাগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবে। এই জন্য বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন দফতর ও কোম্পানির বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির মে ২০২০ মাসের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

 

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড.সুলতান আহমেদ মুঠোফোনে ফোকাস বাংলা নিউজ কে বলেন, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে মানুষের ভোগান্তির কথা আমরা জানতে পেরেছি। গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে যে অভিযোগ আছে তা নিখুঁদ ভাবে আমরা পর্যালোচনা করবো। এমন কি গ্রাহকের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ বিল যেন অযাথিত ভাবে অতিরিক্ত স্লাবে না পড়ে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখতে বলেছি।

 

তিনি আরও বলেন, এই অতিরিক্ত বিলের সঙ্গে জড়িত বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত কিনা তাও খুঁজে বের করা হবে। এটি ইচ্ছাকৃত ভুল নাকি অন্য কোনও কারণে এই ধরনের অতিরিক্ত বিল করে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে তা খুঁজে বের করা হবে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই জন্য বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

বিদ্যুৎ সচিব আরও বলেন, ঢাকার দুই বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকোর বিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মাকছুদা খাতুনকে এবং বাকি বিতরণ কোম্পানিগুলোর জন্য অন্য কমকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

এই সময় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা দুঃখ প্রকাশ করে জানান, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদান সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে সংস্থাগুলো আলাদাভাবে গণমাধ্যমের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন।

 

সভায় বিদ্যুৎ সচিব ড.সুলতান আহমেদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অব.),পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান এবং দফতর ও কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এদিকে ডিপিডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান মুঠোফোনে জানান, আমরা ২/১দিনের মধ্যেই অনলাইনে আমাদের গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিলের যে অভিযোগ গুলো আছে তা বিস্তারিত তুলে ধরবো। গ্রাহক যাতে কোনো অবস্থাতেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেই বিষয়ে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

 

তিনি আরও বলেন, ডিপিডিসি’র ৩৬ টি এনওসিএসএর অফিসে যে সব গ্রাহক তাদের অভিযোগ নিয়ে গিয়েছে সে গুলো পর্যালোচনা করে ইতিমধ্যেই সমাধান করা হয়েছে।

 

সভায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয়ে জানানো হয়, বিদ্যুৎ বিভাগ ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি বিনিয়োগ বা জিওবি খাতে ৮৭টি, প্রকল্প সহযোগিতা খাতে ১১টি ও নিজস্ব অর্থায়নে ছয়টিসহ মোট ১০৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। গত মে পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থিক ৭২ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও ভৌত ৭০ দশমিক ৬১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। যা জুুনের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

প্রতিবেদনঃ ফোকাস বাংলা নিউজ।

Close