জেলার খবর

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে কৃষি জমি

কবিরহাটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে কৃষি জমি

____________________________________

নোয়াখালী করিবহাটে উপজেলার ধান সিড়ি ইউনিয়ন বোর্ড অফিসের দক্ষিণে পার্শ্বে আবুল কালামের একে ফল্টি নামে ফার্মের পিছনে কৃষি জমিতে দীর্ঘ দিন যাবত অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে লক্ষ-লক্ষ ঘনফুট বালু বিক্রি করে আসছে। বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে কৃষিজমিও আশ-পার্শ্বের বাড়ি-ঘর।

 

সরজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ সরকারের আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে কবিরহাট উপজেলা ধানসিড়ি ইউনিয়নের বোর্ড অফিসের একটু দক্ষিণে দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে শক্তিশালী ৩টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে আবুল কালামের ফল্টি ফার্মের পিছনে কৃষিজমিতে লক্ষ-লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে দেদার বিক্রি করে চলেছে। এতে আশে-পাশের কৃষি জমি ও বাড়ী ঘর বিলীন হওয়ার উপক্রম, তবু দেখার যেন কেউ নেই।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একে ফল্টি ফার্মের আশে-পাশের ভূক্তভোগী ও এলাকার সচেতন মহল অভিযোগ করে বলেন, বালু উত্তোলনকারী আবুল কালাম কোম্পনী প্রভাবশালী হওয়ায়, আমাদের কোন প্রতিবাদ আমলে নেননি। কতিপয় রাজনৈতিক কিছু স্বার্থ লোভি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লক্ষ-লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে চলেছে।

 

একাধিক ব্যাক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যত আইন গরীবের! তাদের (বড় লোকদের) কোন আইন নেই,  অবৈধ ভাবে বালূ উত্তোলনের ব্যাপারে বললে, উল্টো হুমকি-দুমকি খেতে হয়।

 

একে ফল্টি ফার্মের মালিক আবুল কালামকে সরজমিনে দেখতে পেয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে জিঞ্জাসা করলে তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসনে লোক আছে। আমরা প্রশাসনকে অবগত করে বালু উত্তোলন করতেছি।

 

এ বিষয়ে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানতাম না, দেখি কি করা যায়।

 

ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, কত করবেন ভাই, কি লাভ? তারা আমার কথা শুনে না।

 

কবিরহাট উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মীর রাসেদুল জামান রাসেদকে একাধিক বার মুঠোফোনে একে ফল্টি ফার্মে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন সম্পর্কে অবগত করলে তিনি বলেন, আমার লোকবল নেই। ব্যস্ততা শেষ হলে সময় করে ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করবো।

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker