
ব্রেকিং নিউজ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান তালুকদার ঘোষণা রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার।
কুমিল্লা চান্দিনার ১৩ নং জোয়াগ ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মেহেদী হাসান তালুকদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক ভেরিফাই আইডি থেকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে চান্দিনা তথা ১৩ নং ইউনিয়নের সম্মানিত জনগণের উদ্দেশ্য খোলা চিঠি।
মেহেদী হাসান তালুকদার আইডি থেকে সংগ্রহীত। যা পাঠকদের মাঝে হুবহুব তুলে ধরা হল।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আমি মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার
আলহাজ্ব অধ্যাপক মোঃ আলী আশরাফ এমপি মহোদয়ের একজন কর্মী হিসেবে উনি আমাকে যে চেয়ারটা উপহার দিয়েছেন আমি এবং আমার পরিবারের ৯ জন লোকের নতুন জীবন দিয়েছেন এই চেয়ারটা যদি উনি দয়া করে না দিতেন তাহলে আমার পরিবার এই নতুন জীবন পেতো না, অথবা ওদের কে নিয়ে বেঁছে থাকাটা সম্ভব ছিলো না উনার উছিলায় আল্লাহর রহমতে এই পরিবারটাকে নিয়ে অনেক ভালো আছি তাই আমি উনার কাছে উনার পরিবার জাহানারা আশরাফ যে আমাকে জন্ম না দিয়েও মায়ের দায়িত্ব পালন করেছে এবং টিটু ভাইয়ের কাছে এবং পুরো পরিবারের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
আমি আপনার একজন নগন্য কর্মী হিসেবে বেঁছে থাকতে চাই ততদিন আপনার হয়ে থাকবো, জোয়াগ ইউনিয়নের রাজনিতিতে যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি চলছে তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আর রাজনীতি করবো না জোয়াগ ইউনিয়ন শুধু আওয়ামীলীগের একজন ভোটার হিসেবে থাকবো, যে রাজনিতি এবং চেয়ারের জন্য ২০ /২৫ বছর একসাথে এবং একই বিছানায় থেকে একসাথে চলাফেরা করে মায়ের পেটের ভাইয়ের চেয়ে বড় আত্বার ভাই, সে ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন, যে সহপাঠী বন্ধুদের সাথে প্রাইমারী স্কুল থেকে ৪০/৪৫ বছর একসাথে থেকে আজ এই চেয়ার এর জন্য সম্পর্ক বিছিন্ন, যে চেয়ারের জন্য মা বাবার সাথে সন্তানের বিরোধ সৃষ্টি করে, যে চেয়ারের জন্য সাংসারিক জীবনে আঘাত করে যে রাজনিতিতে সারাদিন শুধু মিথ্যা আর মিথ্যা অপপ্রচার হয়, এবং আমাকে এই চেয়ারটা থেকে সরানোর জন্য সারাদিন আমার দলের কিছু বন্ধুরা যে পরিশ্রম করে এবং যা মিথ্যা কথা বলেন এবং সারাদিন ৪০ থেকে ৫০ টা অভিযোগ যে অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই সে অভিযোগ গুলো এমপি মহোদয় কে বলেন তাদের এই কষ্ট গুলো থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আর রাজনীতি করবো না তাই ১৫/০৬/২০২০ বেলা ২ ঘটিকায় ইউনিয়ন পরিষদে ১২ জন মেম্বার নিয়ে মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি আমি আর রাজনিতি করবো না এবং জোয়াগ ইউনিয়নে একজন ভোটার হিসেবে থাকবো
এই ইউনিয়ন এবং থানা নেতৃবিন্দদের অবগতির জন্য ফেইসবুক এই লেখেটা,
এই লেখাটায় আমার এমপি মহোদয় একটু স্বস্তি পাবেন কারন প্রতিদিন যদি আমার বিরুদ্ধে ৫০ টা করে অভিযোগ দেওয়া হয় তাহলে মাসে ১৫০০ অভিযোগ তাহলে যদি একটি উপজেলার শুধু আমার একজনের বিরুদ্ধেই মাসে ১৫০০ অভিযোগ যায় তাহলে উনার কি উপজেলায় আর কোন কাজ নেই শুধু আমার অভিযোগই শুনবেন.? আমার বিশ্বাস এই লেখাটায় উনিও একটু স্বস্তি পাবেন অভিযোগ গুলো আর শুনতে হলো না, উনিই বা আর কি করবেন একজনের বিরুদ্ধে এতো গুলো অভিযোগ গেলে উনি বিশ্বাস না করলেও বিশ্বাস করতে বাধ্য সবই কি আমার শত্রু?,
এমপি মহদোয় একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন -“তোমার বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ কেনো? ” আমিও উনার প্রশ্নের উত্তরে বলিছিলাম ” লিডার যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো দেয় তাদেরকে বলেন প্রমান করতে আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে এবং চেয়ারম্যান হওয়ার পরে আমার বিরুদ্ধে গড়ে যদি আপনার কাছে একলক্ষ অভিযোগ থাকে একটা প্রমান করতে পারলে সব সত্যি আপনার বিচারে আমার যা শাস্তি হয় আমি মাথা পেতে নেবো ” কিন্তু প্রমান করতে পারেননি তারপরও আমি দোষী,
আমি অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি মহোদয়ের আদর্শকে অনুসরন করে এবং ওনার রাজনীতিক সততা ও নিষ্ঠা কে অনুসরন আজকে এই অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছি উনি যখন আমাকে নৌকা দিয়েছেন এবং দোয়া দিয়েছেন এই ত্যাগী আওয়ামীলীগ এবং দলের যারা ভালো পদ পদবি তে আছেন তাদের ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছেনে এবং ধানের শীষের পক্ষে কাজ করছেন,,, কিন্তু উনারা বড় আওয়ামীলীগ, তো উনার দোয়া থাকার কারনে কেউ নৌকার বিজয়কে ছিনিয়ে নিতে পারেনি রাজনীতিতে সততা থাকলে এইটার প্রমান যেমেন অধ্যাপক আলী আশরাফ উনি যতবার সংসদ নির্বাচন করছে ততবার বিজয়ী হয়েছেন ২য় প্রমান আমি মেহেদী হাসান তালুকদার রাজনীতিতে সততা থাকার কারনে আওয়ামীলীগের ৪০ ভাগ, বিএনপি, এলডিপি,জামাত, প্রশাসন সহ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেও সততা কে দাবিয়ে রাখতে পারেন নাই সেদিন চান্দিনা উপজেলা পরিষদের সফল দুই দুবারের চেয়ারম্যান বাবু তপন বকশি, এফবিসিসি আইয়ের সিনিয়র সহ সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ টিটু ভাই, পৌর মেয়র মফিজুল ইসলাম, এবং উপজেল পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, এবং বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মহিউদ্দিন আলম ১২ টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ১২ টা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ এবং সকল অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মা জাহানারা আশরাফ আপনারা সেদিন যে পরিশ্রম, ত্যাগ এবং কষ্ট করেছেন সেজন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আমি জোয়াগ ইউনিয়নে ১৮ বছর অসহায় হতদরিদ্র মানুষদের মাঝে ভিবিন্ন সময় ভিবিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছি যা এখন ও চলমান ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলোতে এ কার্যক্রম চলবে,
ভারতে মিঠুন চক্রবর্তীর একটা ছবি দেখেছিলাম ছবির নাম ছিল ফাটাকেষ্ট যে কারনেই হোক ফাটাকেষ্টকে ৭ দিনের জন্য সরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো দেখলাম উনি ওনার সততা দিয়ে সাতদিনে ভারতের মতো একটা দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করেছেন সেখান থেকে আমার ইচ্ছা জাগলো, সততা থাকলে এবং অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি মহদয়ের মতো সৎ একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তির আশীর্বাদ থাকলে চেয়ারম্যানের এই চেয়ারটায় বসতে পারলো আমার এই জোয়াগ ইউনিয়নের মানুষের জন্য আরো অনেক বেশি সেবা উন্নয়ন করতে পারবো, সে জন্য এই স্বপ্নটা দেখেছিলাম,
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চেয়ারটা পাওয়ার আগে নামাজের সেজদায় গিয়ে আল্লাহকে বলেছিলাম
“আল্লাহ তুমি যদি এই দায়িত্বটা দাও আমি তোমার সাথে ওয়াদা করতেছি আমি দরবার কারবার, বিচার আচার থেকে কোন ঘুষ খাবো না, ন্যায়টাকে অন্যায় করবো না অন্যায় টাকে ন্যায় করবো না, কোন অসহায় মানুষকে হয়ারানি করবো না, এবং অসৎ উপায়ে উপার্জন করবো না এবং কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করবো না ”
এবং আল্লাহ দায়িত্ব দেওয়ার পরে আমি চেয়ারম্যান ৪ বছর রানিং থাকা অবস্থায় আল্লাহর সাথে যে ওয়াদা করেছি সে ওয়াদা ভংঙ্গ করি নাই, তার একমাত্র সাক্ষী আল্লাহপাক আর যারা বলতেছেন আমি এই ইউনিয়নটাকে ধংস করে দিয়েছি, এবং কোটি কোটি টাকা আত্বসাৎ করেছি, যদি আপনাদের কথাটা সত্যি হয় আল্লাহ যেন আমাকে এক সেকেন্ডের মধ্যে ধংস করে দেয়, আর যদি আপনাদেরটা মিথ্যা হয় তাহলে আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনার হেদায়েত নসিব করেন,
আমার ইচ্ছা ছিল আমি জোয়াগ ইউনিয়নবাসীকে সর্বদা দিয়েই যাবো তাদের দুঃখে সুখে বাকিটা জীবন সেবা করে যাবো এবং জোয়াগ ইউনিয়ন কে একটি উন্নয়নের রোড মডেল হিসাবে গড়ে যাবো,আমার কোন কিছুই চাওয়া পাওয়া নেই আমি জোয়াগ ইউনিয়নের জনগনের ভালোবাসার ভিক্ষুক শুনেছি মানব সেবাই বড় সেবা,
তো আমি জানতাম না আপনারা আমাকে মিথ্যা অপবাদ, এই চেয়ার থেকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র, মিথ্যা অপপ্রচার এমন ভাবে দিয়েছেন যেটা আমার শরীরে আর এক বিন্দু জায়গা নেই যে আরো কিছু দিলে আমি নিতে পারবো, তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি রাজনীতি থেকে সরে যাবো শুধু এই ইউনিয়নে একজন রাজনিতিক ভোটার হিসেবে থাকবো, আপনারা যদি মনে করেন এই ইউনিয়নে একজন ভোটার হিসেবে থাকার যোগ্যতাও নেই তাহলে আমি আমার এই নামটাও কেটে নিয়ে যাবো,
বাকি একটা বছর যেন আমি আল্লাহ সাথে যে ওয়াদাটা করেছি সেই ওয়াদাটা যেন ভংঙ্গ না হয় সেজন্য আপনাদের কাছে দোয়া চাই,
অবশেষে আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ করে যাই এই যে চেয়ারটা তো আর খালি থাকবে না এই চেয়ারটাতে যাকেই বসান সে যেন আল্লাহ অসহায় বান্ধাদের প্রতি নেক নজর দেয় এবং মানবদরদী হয় এবং যার কাছে ধনী গরিবের কোন ভেদাভেদ থাকবে না যার প্রয়োজন শুধু অর্থ, এবং কোন জুলুম অত্যাচারীকে এই চেয়ারটাতে বসাবেন না এই বলে আমি আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, আমি এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন,
জোয়াগ ইউনিয়নের রাজনীতি ও এই চেয়ারটা ছেড়ে গেলেও চান্দিনার উন্নয়নের রুপকার চান্দিনা গনমানুষের নেতা অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি মহোদয় ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবিন্দ দের সাথেই থাকবো
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন





