চান্দিনা

কুমিল্লার চান্দিনায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গরুর হাট জমে উঠেছে

কুমিল্লার চান্দিনায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গরুর হাট জমে উঠেছে

 

 

কুমিল্লার চান্দিনায় পৌরসদর ও বিভিন্ন ইউনিয়ন গুলোতে ইজারা পাওয়া গরুর  হাটগুলো বসতে শুরু করেছে। হাটগুলোতে ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে গরু।

 

শনিবার (৩ আগস্ট) চান্দিনা পৌর সভার ছায়কোট বাজার গরুর হাট ও দোল্লাই নবাবপুর বাজারে মাঠের গরুর হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

 

ছায়কোট চাজারে হাটে দেখা যায়, সেখানে সড়ক পথে আসছে গরু।  ট্রাকে ট্রাকে করে গরুগুলো নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা। পাশাপাশি তাদের নিজেদের থাকা খাওয়ার কিছু আসবাবপত্রও সাথে আনছেন। ইতোমধ্যে হাটের এক চতুর্থাংশ অংশে গরু বাধা অবস্থায় দেখা যায় হাটটিতে।

 

একই অবস্থা দোল্লাই নবাবপুর বাজার গরুর হাটে। সেখানে সড়ক পথে ট্রাকে ট্রাকে গরু আনছেন ব্যাপারীরা। আগে আগে গরু এনে নিজেদের স্থান নির্বাচন করে সেখানে অনেকে বালু দিয়ে উঁচু করছেন নিজ খরচে। অনেকেই ২০ থেকে ৩০টি গরু আনছেন আবার অনেকেই দলভুক্তভাবে অনেক গরু একসাথে আনছেন। গরুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা আগেভাগেই এসে স্থান নির্বাচন করে গরুগুলো উঠাতে শুরু করেছেন।

 

চান্দিনা ছায়কোট গরুর হাটে আসা ব্যাপারী জামাল  জানান, তিনি নিজের গরুর খামারে গরু লালন পালন করার পরও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর থেকে গরু নিয়ে এসেছেন এখানে। প্রায় ২০টি গরু তার ও তার আত্মীয়ের। তিনি আগেভাগেই এসে হাটের একটি উঁচু ও ভালো জায়গা নিয়েছেন। ৩০ টি গরু বিক্রি শেষ হলে তিনি আবারো গরু আনবেন বলে জানান। এখনো গরুর ক্রেতা নেই বলে জানান জামাল।

 

চান্দিনা দোল্লাই নবাবপুর হাটে আসা  কেনু মিয়া ব্যাপারী জানান, তিনি প্রতি বছরের মত এবারো দোল্লাই নবাবপুর  হাটে গরু এনেছেন। আগে ভাগে এসে গরুর জন্য স্থান নির্বাচন ও বালু নিজ খরচে দিয়ে স্থানটি উঁচু করেছেন। তিনি ও তার সাথেও কয়েকজন মিলে মোট ২০ টির মত গরু এনেছেন বলে জানান তিনি। তবে সবগুলো একসাথে না ধীরে ধীরে হাটে উঠাবেন তিনি।

 

তবে গরু নিয়ে আসার  সড়ক পথে চাঁদাবাজি বা কোন রকমের হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন না ব্যাপারীরা। চাঁদাবাজি যেন না হয় সেদিকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

 

 

 

Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker