জাতীয়
চান্দিনায় সরকারী রাস্তায় সিমেন্টের পিলার বসিয়ে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ

চান্দিনায় সরকারী রাস্তায় সিমেন্টের পিলার বসিয়ে বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ
।।সোহেল রানা।।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ২ নং বাতঘাসী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এবং ৭ নং ওয়ার্ডের সিমান্তবর্তী উত্তর কৃষ্ণপুর এবং নাজিরপুর এলাকায় সিমেন্টের পিলার বসিয়ে বাশের বেড়া দিয়ে সরকারী রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৭ মে) সরেজিমনে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অত্র ওয়ার্ডের নাজিরপুর রব মিয়ার বাড়ী হইতে উত্তর কৃষ্ণপুড় আলমগীর গাজীর কবরস্থান পর্যন্ত রাস্তাটি একটি ব্যাস্ততম রাস্তা। এখানে একটি
মসজিদ, একটি কবরস্থান এবং একটি প্রস্তাবিত মাদ্রাসা আছে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে শত শত লোকজন ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে।
গত দুই তিন বছর আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সরকারি অনুদানে রাস্তাটি পুনঃনিন্মান করেছিলেন। রাস্তার বেড়া অপসারন করে রাস্তাটি জনগনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন তারা।
বাতাঘাসী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম জানান, গত ২০১৯-২০২০ ইং অর্থবছরে ইজিপিপি কর্মসুচীর আওতায় এবং ২০২০-২০২১ ইং অর্থবছরে কাবিটা কর্মসুচীর আওতায় রাস্তাটি পুনঃনিন্মান করে অধ্যাবধি লোকজন চলাচল করে আসছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, সম্প্রতি জানতে পারলাম পাশ্ববর্তী নাজিরপুর গ্রামের মৃত সুজাত আলীর ছেলে আব্দুর রব গং দয় সিমেন্টের পিলার বসিয়ে বাশের বেড়া দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
এব্যাপারে জমির মালিক আব্দুর রব এবং পরিবারের লোকজন জানান, এখানে সরকারী কোন খাস জমি নাই। এইটা আমাদের ব্যাক্তিগত জমি। সাবেক চেয়ারম্যাকে দিয়ে আমার জমির উপর দিয়ে জোড়পুর্বক ভাবে রাস্তা তৈরী করেছিল আলমগীর গাজী। তখন তারা বলেছিল, আমাদেরকে জমির ক্ষতি পুরন দিয়ে দিবে। দীর্ঘদিন পাড় হয়ে গেলেও আমরা এখনো কোন ক্ষতি পুরন পাইনি। তাই রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছি।
এব্যাপারে হাজী আলমগীর গাজী মুঠো ফোনে জানান, আমি রাস্তা নেওয়ার সময় রব গংদের কে তাদের ক্ষতিপুরন বাবৎ ৮০ (আশি হাজার) টাকা দিয়ে তাদের জমির পাড় বাধাই করে দিয়েছি। বর্তমান চেয়ারম্যান এর মদদে আব্দুর রব গং পুনরায় আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য জনগনের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
বাতাঘাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট ছাদেকুর রহমান মুঠো ফোনে বলেন, এইটা সরকারী রাস্তা না। এইটার ভূক্তভোগী একজন। সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় কিছু লোকের কাছ থেকে টাকা খেয়ে জোড় পুর্বক ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে রাস্তাটি তৈরী করেছে। সে সময় তাদেরকে জমির ক্ষতি পুরন বাবৎ অন্যত্র সমপরিমান জমি দেয়ার কথা ছিল। আমরা এব্যাপারে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কে নিয়ে শুক্রবারে বসব।
চান্দিনা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে আমাকে কেও জানায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।





