রাজনীতি

আমরা যারা রাজনীতি করি তারা জীবনের মায়া ত্যাগ করেই কাজ করি: সাবিনা আক্তার তুহিন

  • করোনা মহামারীর সময় দুর্নীতি ও অনৈতিক ব্যবসা করার দায়ে যারা অপরাধী তাদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ শেখ হাসিনার সরকারই দিয়েছে। অপরাধীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও প্রধানমন্ত্রী বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
  • রোববার (১৯ জুলাই) দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে আলোচকরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জার্মানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার এবং ফর বাংলাদেশ এসোসিয়েশন, জার্মানির সভাপতি প্রকৌশলী হাসনাত মিয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী সাবিনা আক্তার তুহিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নির্বাহী সদস্য ডা. দিলরুবা আক্তার এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সোহেল শাহরিয়ার রানা। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন।
  • সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, এই করোনা সংকটের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেন। এ কারণে আমাদের কোনো খাদ্য সংকট দেখা দেয়নি। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কৃষকদের ধান কেটে দিল। প্রধানমন্ত্রী ৭৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল শুরুতেই। প্রত্যেক মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশে ভূখন্ড বড়, লোকজন সীমিত। কিন্তু আমাদের ভূখন্ড ছোট, লোকসংখ্যা বেশি। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অনেক সময় বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমি নাজিম উদ্দিন ভাইয়ের সাথে একমত, আওয়ামী লীগে অনেক ধোকাবাজ, বাটপার অনুপ্রবেশ করে দলের সুনাম নষ্ট করছে। তারা আমাদের দলে এসে দুর্নাম করছে। এক্ষেত্রে আমি সরকারকে ধন্যবাদ দিই, নিজ দলের মধ্যে দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেয়া হয়নি। আজ যদি এসব দুর্নীতিবাজদের ধরা না হতো, তাহলে আরো সুযোগ পেয়ে যেত। যাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই, তারা কৌশলে আমাদের দলে ঢুকছেন। তাদের ঠেকানোর কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, ভাড়া করা লোকের আমাদের দরকার নেই।  এই করোনার সময় মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। মিরপুরে হটলাইন খুলেছিলাম। প্রথম দিকে কয়েকজন ফোন করলেও এখন কেউ ফোনও করে না। বাংলাদেশে বিরোধী দলের অনেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করলেও বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ এবং ম্যাগাজিনগুলোতে তার প্রশংসা করা হচ্ছে। এই করোনা সংকট মোকাবিলা করতে গিয়ে আমরা মোহাম্মদ নাসিম,সাহারা খাতুন, কামরান ভাইয়ের মতো রাজনীতিবিদকে হারিয়েছি। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা জীবনের মায়া ত্যাগ করেই কাজ করি। আমার এক বোন চিকিৎসক, সে তার তিন বছরের সন্তানকে ঘরে রেখে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে। আমার আরেক বোন সাংবাদিকতা করতে গিয়ে পেশাগত কাজ করে যাচ্ছেন। এই করোনা সংকটের সময় আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করেই কাজ করে যাচ্ছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে বলেই আজ অনেক সত্য জানতে পারছি। কুকুরের মাথায় টুপি দিয়ে জামায়াত অপপ্রচার চালিয়েছিল ভোটের রাজনীতির সময়। কিন্তু নতুন প্রজন্ম এখন অনেক সচেতন। রপ্তানি আয় ধরে রাখতে তরুণদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে।
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker