জাতীয়

মন্ত্রিসভায় থাকতে পারে নতুন চমক!

কেমন হবে এবারের মন্ত্রিসভা! দলীয় আর জোটের শরিক দলের নেতাদের বুক ঢিপঢিপ করছে। কেউ জানেন না কী আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের বিপুল বিজয়ের পর সরকার গঠনে শেখ হাসিনা যেমন সবাইকে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ঠিক একইভাবে চমক আসছে এবারের নির্বাচনে জয়ের পরে! দুটি ঘটনা একটু নতুন ইঙ্গিত দেয় অনেকের কাছেই।  অনেকেই মনে করতে পারেন যে, বাংলাদেশে নব নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বাংলাদেশে আসার পরেই প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ। এই সাক্ষাতে মিলার জানতে চান যে, নির্বাচনে জিতলে আওয়ামী লীগ কী ড. কামাল বা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মন্ত্রী বানাতে পারেন? এর জবাবে জাত ডিপ্লম্যাট গওহর রিজভী বলেছিলেন, বর্তমানেও বিরোধী দলের অনেকেই মন্ত্রী আছেন, তাই এটা অসম্ভব নয়।   একই সুরের কথা শোনা গেল গত গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। এতে বলা হয়, ‘বিএনপি পাঁচটি আসন পেয়েছে, আমাদের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া আমরা সবাই হেরেছি। মহাসচিবকে আমরা অভিনন্দন জানাতে পারি’।স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছিলাম, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যেতে, কিন্তু বিএনপি মহাসচিব আমাদের কথা শোনেননি। তিনি কিসের আশায় ছিলেন আমরা জানি না’।এসময় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফোঁড়ন কেটে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তো আবারও জাতীয় ঐক্যমতের সরকার করবেন। আমাদের মহাসচিব নিশ্চয়ই সেখানে মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। আমরা এজন্য তাকে আগাম অভিনন্দন জানাতে পারি।’ আমরা জানি এসব হয়তো কথার কথা। কিন্তু মনে এমন কথা উচ্চারিত হওয়ার মানে কিন্তু ভিন্ন। এর আরেকটি অর্থ হচ্ছে যারা এটা বলেন তাঁদের মনের মধ্যে একটা প্রত্যাশা নিয়েই বলেন এমন কথা। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৫৯, জাতীয় পার্টি ২০, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩, জাসদ ২, বিকল্পধারা ২, তরিকত ফেডারেশন ১, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি ৫, গণফোরাম ২ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৩ আসনে।হয়তো দুই এক দিনের মধ্যেই নতুন সংসদ সদস্যগণ শপথ নেবেন। রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের জন্য আহবান জানাবেন। তিনি হয়তো ৫০ বা ৬০ জনের মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, বিকল্পধারা, জাতীয় পার্টি (জেপি) থেকে মোট ১০ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী নিতে পারেন। আর যেহেতু দেশের উন্নয়নে রাজনীতি করা তাই হঠাৎ করেই যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে বলেন তখন কী হবে! হরতাল-ধর্মঘট-অবরোধ ছাড়াই দেশের উন্নয়ন যেমন ত্বরান্বিত হবে, ঠিক তেমনি সরকারের মধ্যে থেকেও তারা দেখতে পারবেন যে, সরকারের কোন কোন মন্ত্রী কতটুকু দুর্নীতি করছেন, যা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট করতে পারবেন। এটা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন কৌশল, নিজের দলের নেতাদের দুর্নীতি বন্ধে সরকারের মধ্যে বিরোধী দলের লোককে পাহারায় বসানো, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নতুন কৌশল অবলম্বন! এমন হলে তা হবে সত্যিই বড় পজেটিভ চমক, সরকারের জন্য।

Close