চান্দিনা
ভন্ডামি বন্ধে চান্দিনা থানা প্রসাশনের সহযোগিতা চায় শ্রীমন্তপুর এলাকাবাসী

ভন্ডামি বন্ধে চান্দিনা থানা প্রসাশনের সহযোগিতা চায় শ্রীমন্তপুর এলাকাবাসী
আজকে ভক্ষকদের হাতে রক্ষকের দায়িত্ব অর্পণের কারণে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে ভন্ডামি। এমনই ভন্ডামি শুরু হয়েছে চান্দিনা থানার বরকইট ইউনিয়নের অন্তর্গত শ্রীমন্তপুর গ্রামে।
ভন্ডামির ঘটনাটি শুরু হয় সপ্তাহখানেক আগে। শ্রীমন্ত পুর গ্রামের সায়েদ আলী মিকারের মোড় সংলগ্ন চাঁন গাজী বাড়ির মরহুম ছালেহ আহমদ মেম্বারের মেঝ ছেলে মোঃ বশির। কয়দিন আগেও সে দিনমজুর খেটে জীবিকা নির্বাহ করত। মাঝে মাঝে মাছ চুরির অভিযোগ রয়েছে। একাধিক নারী ঘটিত কেলেঙ্কারির অভিযোগও আছে। কিন্তু হঠাৎ করে সে প্রচার করতে শুরু করে যে সে স্বপ্নে ফকিরি পেয়েছে। তখনি এলাকার কিছু চতুর উশৃঙ্খল যুবক তাকে ফকিরি কাজে সাহায্যে এগিয়ে আসে বশিরের নিজ ঘরে আস্তানা করে বসে। যে বশির ঠিক মতো সূরা ফাতিহা পড়তে জানে না সে রীতিমতো দরবার সাজিয়ে ঝাড়ফুঁক শুরু করেছে। এখন তার ভক্তবৃন্দের অভাব নাই।
এলাকার নারী পুরুষ সকাল বিকাল তার কাছে ভীড় জমায়। বাইরের গ্রামের লোকজন আসা যাওয়া করছে। ভক্তদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বশির ফকির নারীদেরকে অর্ধ্ব উলঙ্গ করে মালিশ এবং ঝাড়ফুঁক করছেন। এমন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে এলাকা বাসি চান্দিনা থানা প্রসাশনের সহযোগিতা কামনা করছে। ধারণা করা হচ্ছে ফকিরি কাজের আড়ালে নারী ও নেশা ক্রয়বিক্রয় করে তথাকথিত ফকির বশির।
এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার, গ্রামপুলিশ সহ এলাকার কিছু উশৃঙ্খল যুবক এর সাথে জড়িত। যে কারণে তারা প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। এই ভন্ডামি বন্ধে এলাকা বাসী স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাশেম এর সহযোগীতা কামনা করেছে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে।
লেখাটি শেয়ার করে প্রশাসনের কাছে পৌছে দিন।
নিবেদক,
স্থানীয় এলাকাবাসী সংগৃহীত