রাজনীতি

চান্দিনায় অবৈধ বিলবোর্ড,ব্যানার-ফেস্টুন প্রচার সামগ্রী অপসারণ

চান্দিনায় অবৈধ বিলবোর্ড,ব্যানার-ফেস্টুন প্রচার সামগ্রী অপসারণ,

রিপন অাহমেদ ভূইয়া।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী চান্দিনায উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সকল ধরনের নির্বাচনী পোস্টার, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুনসহ সব ধরনের প্রচার সামগ্রী অপসারণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে সারাদিন ব্যাপী চান্দিনা উপজেলার প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলামের নেতৃত্বে চান্দিনা উপজেলা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মীরা এ সব অপসারণ শুরু করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম জানান, ৩০ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী চান্দিনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় টানানো সকল ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে-কার্ড, পোস্টার অপসারণ করা হচ্ছে। আমরা অপসারনের প্রথম দিনে সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত উপজেলার পৌরসভা,মাধাইয়া বাজার,মহিচাইল বাজার,রসূলপুর বাজার,নবাবপুর বাজার,বাড়েরা বাজার,বদরপুর,ফাঐ,শ্রীমন্তপুর বাজারসহ প্রধান সড়ক গুলোর পাশের থাকা সহস্রাধিক নির্বাচনী ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড অপসারন করেছি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লা জেলায় সকল ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে-কার্ড, পোস্টার অপসারণ করার জন্য ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে। আমি চান্দিনা উপজেলার দায়িত্বে আছি।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত রোবাবার রাত ১২টার মধ্যে একাদশ নির্বাচনের সকল প্রচার সামগ্রী সরিয়ে না ফেলা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, কেউ নির্ধারিত সময়ে ব্যক্তিগতভাবে না সরালে রিটার্নিং অফিসারকে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া আছে। তারপরও কেউ না সরালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগুলো সরানোর নির্দেশনা দেয়া হবে।

এ বিষয়ে ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাস্তা-ঘাট, মার্কেট, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ যেকোনো জায়গায় প্রচার সামগ্রী তথা পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার ইত্যাদি রয়েছে, তা সরিয়ে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের নামে প্রচার সামগ্রী রয়েছে তাদের নিজ উদ্যোগে সরাতে বলেছে ইসি।

অন্যদিকে, প্রচার সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ সকল স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশা দিয়েছে ইসি। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়।

সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীকে এ আদেশ প্রতিপালন করার কারণে কারাদণ্ড এবং জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন চাইলে প্রার্থীর প্রার্থিতাও এই অপরাধের জন্য বাতিলের ক্ষমতা রাখে।

Close