চান্দিনা

চান্দিনা উপজেলা সদরে সুনসান নিরবতা

চান্দিনা উপজেলা সদরে সুনসান নিরবতা

মো. আবদুল বাতেন।।চান্দিনাকে ’রেড জোন’ ঘোষণার পর থেকে সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে এই উপজেলা সদরে। এ উপজেলায় ৯জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে উপজেলা সদরের প্রায় সকল দোকান-পাট। জরুরী ওষুধ দোকান ও ডাক্তারদের চেম্বারগুলোই খোলা রয়েছে। উপজেলা সদরে পুলিশ-সেনাবাহনীর যৌথ সহযোগিতায় ম্যাজিস্ট্রেটের ধারাবাহিক অভিযানে নিশ্চুপ হয়ে পড়েছে উপজেলা সদর।

 

এদিকে আক্রান্তদের সবার বসবাস অথবা কর্মস্থলের দিক থেকে চান্দিনা পৌরসভায় তাদের অবস্থান। ফলে পৌরসভার মেয়র মো. মফিজুল ইসলামও পৌর এলাকাকে কার্যত লকডাউনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

 

চান্দিনা উপজেলা সদরের বাজারটি পার্শ্ববর্তী দেবীদ্বার উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় হওয়ায় দুই উপজেলার ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে সর্বদা সরগরম থাকে। কিন্তু গত ৩ মে চান্দিনা বাজার সহ পাশ্ববর্তী ধানসিঁড়ি ও মহারং এলাকাকে ‘হটস্পট’ হিসেবে ঘোষণার পর বাজারের সকল দোকান-পাট বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। তারপর থেকে পুলিশ-সেনা বাহিনীর যৌথ সহযোগিতায় চলে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।

 

মঙ্গলবার (৫ মে) প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের তৃতীয় দিনেও জরুরী ওষুধ দোকান ব্যতিত খুলেনি কোন দোকান-পাট। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত দত্ত নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৯টাকা জরিমানা করে।

 

সরেজমিনে উপজেলা সদরের সাহাপাড়া এলাকা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ রোড পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে কোথাও কোন দোকান-পাট খুলেনি। অভিযান থাকায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন মানুষ বাজারে আসেনি।

 

এব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নেহাশীষ দাশ জানান- চান্দিনায় যে ক’জন রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের অধিকাংশের বসবাস উপজেলা সদরে। বিশেষ করে মহারং, ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায়। এছাড়া দেবীদ্বার উপজেলার বাগুর ও নবীয়াবাদে আশঙ্কা জনক হারে বেড়েছে করোনা শনাক্ত রোগী। আর ওই এলাকার মানুষের সার্বক্ষণিক যাতায়াত চান্দিনা বাজারে। সব কিছু বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Close