চান্দিনা

চান্দিনা পৌর এলাকায় মাতৃত্বকালীন ভাতা বিতরণে টাকা আদায়: ছুটির দিনে ভাতা বিতরণ

চান্দিনা পৌর এলাকায় মাতৃত্বকালীন ভাতা বিতরণে টাকা আদায়:
ছুটির দিনে ভাতা বিতরণ

।। মো. আবদুল বাতেন।।

কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা এলাকায় সরকার নির্ধারিত মাতৃত্বকালীন ভাতা বিতরণে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উর্ধ্বতন কাউকে কিছু না জানিয়ে ছুটির দিনেই ভাতা বিতরণ করে জনপ্রতি ৩ শত টাকা করে কেটে রাখে সংশ্লিষ্টরা। এতে ভাতাভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সোমবার (১০ মে) পবিত্র শব-ই কদরের বন্ধের দিন চান্দিনা পৌরসভা এলাকায় ৪ শত ৭৫ জন ভাতাভোগীর মাঝে ভাতা বিতরণ কার্যক্রম চালায় চান্দিনা মহিলা বিষয়ক দপ্তর ও ব্যাংক এশিয়া চান্দিনা এজেন্ট শাখা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়- কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় দরিদ্র গর্ভবতী ও দুগ্ধদায়ী মা’দের সঠিক পরিচর্যায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রতি ২৮ হাজার ৮শ টাকা ভাতা প্রদান করা হয়। ওই ভাতা কখনও ৩ মাস অন্তর আবার কখনও ৬ মাস অন্তর প্রতি মাসে ৮শ টাকা হিসেবে ভাতাভোগীদের মোবাইলে ম্যাসেজ আসে।
চান্দিনা উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৪শ ভাতাভোগী মা রয়েছেন। তার মধ্যে চান্দিনা পৌর এলাকায় ৪ শত ৭৫ জন এবং ১৩টি ইউনিয়নে প্রায় ১ হাজার ৯৫০জন।

সরেজমিনে ছায়কোট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়- চান্দিনা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের সহায়তায় সোমবার সরকারি ছুটির দিনে চান্দিনা পৌরসভাধীন ছায়কোট এলাকার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহনাজ পারভীন এর বাড়িতে নিয়ে ৪শত ৭৫জন ভাতা ভোগীর মাঝে ভাতা প্রদান কার্যক্রম শুরু করে ব্যাংক এশিয়া চান্দিনা এজেন্ট শাখা। প্রত্যেক ভাতাভোগীর কার্ডে ৪ হাজার ৮শ টাকার স্বাক্ষর নিয়ে হাতে দেওয়া হয় ৪ হাজার ৫শ টাকা।
ভাতাভোগী তাহমিনা আক্তার জানান- আমার মোবাইলে ৪ হাজার ৮২৩ টাকার ম্যাসেজ আসে। ব্যাংকিং কার্যক্রমের সময় ১শ টাকা এবং পরে আরও ২শ টাকা কেটে ৪হাজার ৫শ টাকা আমাকে দেয়।

এ ব্যাপারে ব্যাংক এশিয়ার উদ্যোক্তা মো. এমদাদুল হক জানান- একশ টাকা আমরা একাউন্টে জমা রেখে ৪ হাজার ৭শ টাকা স্ট্যাপ্লারিং করে দেই। আমার টেবিলের সামনে বসা কয়েকজন তারা কারও কাছ থেকে ১শ কারও কাছ থেকে ২শ টাকা নিয়েছে। টেবিলের সামনে বসা তারা কে ? এমন প্রশ্নে তিনি জানান- তাদের আমি মুখ চিনি কিন্তু নাম জানিনা।

চান্দিনা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা জানান- সরকারি বন্ধের মাঝে এবং কারও বাড়িতে টাকা বিতরণ করারই কথা নয়। উপরন্তু টাকা কেটে রাখা সম্পূর্ণ আইন বিরোধী। আমি মঙ্গলবার অফিস চলাকালীন সময়ে বিস্তারিত জেনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এব্যাপারে চান্দিনা পৌর মেয়র মো. শওকত হোসেন ভূইয়া জানান- ভাতা বিতরণের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। সরকারি বন্ধের দিনে ভাতা বিতরণ বিষয়টিও আশ্চার্য জনক। কয়েকজন ভাতাভোগী এসে টাকা কম পাওয়ার বিষয়ে আমার কাছেও অভিযোগ করেছে।

সূত্র সিএইচ নিউজ

Exit mobile version