অপরাধ

আপন ভাতিজাকে কুপিয়ে জখম করে দুই চাচা

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ভাতিজাকে কুপিয়ে জখম করেছেন দুই চাচা

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মো. সাজেদ নামে এক যুবকের মাথায় দামা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন দুই চাচা। সোমবার (১৯ এপ্রিল) যোহরের নামাজ শেষে উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সাজেদকে বাঁচাতে গিয়ে তার বড় ভাই মো. শাকেরকেও মারধর করা হয়।আহত সাজেদ ও শাকের চররুহিতা গ্রামের সাংবাদিক হাবিব আহমেদের ছেলে। অভিযুক্ত মাহমুদ ও মুজাহিদ হাবিবের দুই ভাই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবিবের সঙ্গে তার দুই ভাই মাহমুদ ও মুজাহিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় প্রায়ই মাহমুদ ও মুজাহিদ বাড়িতে হাবিবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিরোধে জড়াতেন। সম্প্রতি তারা হাবিবের নামে থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন।এরমধ্যেই সোমবার যোহর নামাজ শেষে হাবিবের ছেলে সাজেদ বাড়ি ঢুকছিলেন। এ সময় মাহমুদ ও মুজাহিদ তাকে ধরে ফেলে। একপর্যায়ে মাহমুদ ধারালো দামা দিয়ে সাজেদের মাথায় দুটি আঘাত করেন। চিৎকার শুনে ভাইকে বাঁচাতে গেলে শাকেরকেও তারা মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সাজেদের মাথার খুলি পর্যন্ত কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। শাকেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’এদিকে, সাজেদের চাচা মাহমুদ মাথায় জখম নিয়ে একা একা সদর হাসপাতালে উপস্থিত হন। সাজেদ আগে তাকে দা দিয়ে কুপিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে হাসপাতালে উপস্থিত মানুষজন ধারণা করছেন, ‘ব্লেড’ দিয়ে তার মাথার তালুতে লম্বালম্বিভাবে কাটা হয়েছে।

মাহমুদ বিন সুলতান বলেন, সাজেদ আগে আমাকে কুপিয়েছে। পরে আমি তাকে কুপিয়েছি। তারা আমার টাকা দিচ্ছে না। তবে কত টাকা পাবেন, তা তিনি জানাতে পারেননি।আহত মো. শাকের বলেন, ‘মাহমুদকে কোনো আঘাত করা হয়নি। আমার ভাইকে কুপিয়ে পরে নাটক সাজানোর জন্য নিজেই নিজের মাথা কেটে হাসপাতাল এসেছে। আমাদের ওয়ারিশি জমি তারা জোরপূর্বক ভোগ করার পাঁয়তারা করছে।’লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tags
Exit mobile version