জাতীয়

মহাসড়কের পাশে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধ বাবাকে দেখতে হাসপাতালে এমপি

মহাসড়কের পাশে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধ বাবাকে দেখতে হাসপাতালে এমপি

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধ বাবাকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রান গোপাল দত্ত।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংরক্ষিত কেবিনে গিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধের সব খোঁজ খবর নিয়ে তাঁর সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি বলেন- ওই বৃদ্ধ বাবার সব কথাগুলো যদি সত্যি হয়, তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সকল বাবাই বয়সের এমন একটি পর্যায়ে এসে পৌঁছাবে। সন্তানদের উচিত সকল পিতা-মাতাকে লালন-পালন করা। এসময় তিনি ওই বৃদ্ধের ঠিকানা অনুযায়ী তাঁর পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাপস শীল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার, থানা অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর ফুটওভার ব্রীজের কাছে হুইল চেয়ারে বসা এক অসুস্থ বৃদ্ধকে দেখেন স্থানীয়রা। রোদ-বৃষ্টিতে টানা কয়েকদিন একই স্থানে দেখে খোঁজ নিতে শুরু করেন স্থানীয়রা।

পরবর্তীতে জানতে পারেন গত ৫ অক্টোবর রাতে ওই বৃদ্ধের ছেলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নেয়ার কথা বলে ওই ফুটওভার ব্রীজের পাশে রেখে গেছেন। তারপর থেকে ছেলে এসে নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় অসুস্থ ওই বৃদ্ধ। ওই বৃদ্ধের দেয়া তথ্য মতে তাঁর নাম চাঁন মিয়া, গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে।

সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১০টায় চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার বড়গোবিন্দপুর স্টেশনে গিয়ে ওই বৃদ্ধের মুখ থেকে এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনেন। এমন অমানবিক ঘটনা দেখে ধুলো-বালি মাখা ওই বৃদ্ধের গায়ের দুর্গন্ধকে আপন করে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে নিজের গাড়ি যোগে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ইউএনও তাপস শীল। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে অভিভাবকের স্থানে নাম লেখান ইউএনও নিজেই। তারপর থেকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। এ সংবাদটি প্রচার হওয়ার পর একটি সংগঠন এগিয়ে এসে তার সেবায় নিয়োজিত হয়।

Close