অপরাধআন্তর্জাতিকনারী ও শিশুফিচার

সৌদির নারী অধিকার কর্মীর ৬ বছরের কারাদণ্ড

Saudi women's rights activist sentenced to 6 years in prison

সৌদির সুপরিচিত নারী অধিকার কর্মী লুজাইন আল হাথলুলকে প্রায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের শুনানিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার শিকার হয়েছে সৌদি আরব।

এই মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার ঘটনায় সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগে থেকেই সৌদির মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

৩১ বছর বয়সী লুজাইন আল হাথলুল প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে আসেন ২০১৪ সালে। সে সময় গাড়ি চালিয়ে সৌদি আরব থেকে আরব আামিরাতের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। তখন অবশ্য নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়ে কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল সৌদিতে। যদিও পরবর্তীতে গাড়ি চালানোসহ বেশ কিছু বিষয়ে নারীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

এরপর ২০১৮ সালের ১৫ মে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় তার সঙ্গে আরও কয়েকজন নারী অধিকার কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়। নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে আসছিলেন তারা। গ্রেফতার হওয়া এই নারীরা তাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন লুজাইনের বোন।

সৌদির পত্রিকা সবক এবং আল শার্ক আল আওসাতের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুজাইনের বিরুদ্ধে সৌদির রাজনৈতিক পদ্ধতি পরিবর্তন এবং জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে পাঁচ বছর ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

লুজাইনের বোন লিনা জানিয়েছেন, সাজা ঘোষণার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করবেন। পাঁচ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও আনা হয়েছে লুজাইনের ওপর। এক বিবৃতিতে লিনা বলেন, আমার বোন কোনো সন্ত্রাসী না। সে একজন মানবাধিকার কর্মী।

News Source : jagonews24

Close