চান্দিনারাজনীতি

রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না দেওয়ার অভিযোগ ড. রেদোয়ানের

রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না দেওয়ার অভিযোগ ড. রেদোয়ানের

 

নিজের নির্বাচনি এলাকার (কুমিল্লা-৭) কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ।

 

তিনি বলেন, কুমিল্লার চান্দিনা থেকে চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। দুই-দুবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার এই নির্বাচনি এলাকায় আমি তিনটি কলেজ, পাঁচটি হাইস্কুল, দুটি গালর্স হাইস্কুলসহ বহু মসজিদ-মাদ্রাসা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করেছি। আজ সেই চান্দিনায় কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে আমাকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সেখানে আমাকে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না।

 

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

 

এলডিপি মহাসচিব বলেন, মানুষের সুখে-দুঃখে সারাজীবন যেখানে তাদের পাশে ছিলাম, আজ সেখানে সেই আপনজনদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও বাধার সৃষ্টি করছে। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, আমার সমর্থক মৃত ব্যক্তিদের কুলখানিতেও আমাকে অংশ নিতে দেওয়া হচ্ছে না।  আমাকে কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দিতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলকাবাসীকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

 

রেদোয়ান আহমেদ বলেন, এই চান্দিনায় শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও নিজ এলাকায় কলকারখানা এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। চান্দিনার মানুষের সেবা করা আমার ধ্যান-জ্ঞান। অথচ সেই চান্দিনা থেকে আমাকে বিতাড়িত করতে স্থানীয় এমপি তার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। তার দালিলিক প্রমাণ আমার কাছে আছে। তিনি এলাকায় বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে তার দায় এলডিপির নেতাকর্মীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। কারও কোনো নিমন্ত্রণ বা দাওয়াতে আমি যদি অংশগ্রহণ করি তা হলে তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

 

সম্প্রতি তাকে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করে এলডিপি মহাসচিব বলেন, দেশে চলছে গুম-খুন-অপহরণ। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখতে গিয়ে বর্তমান সরকারবিরোধী দল ও মতের শত শত মানুষকে গুম-খুন অপহরণ করেছেন। একটি মাফিয়াচক্র গত একযুগ ধরে দেশে একটি সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ক্ষমতাসীনরা আজ জনসমর্থন হারিয়েছে। অথচ গোষ্ঠীগত লুটপাটের স্বার্থে এবং কৃত অপরাধের বিচার থেকে রেহাই পেতে তারা জবরদস্তিমূলকভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। গুম, খুন, জেল, জুলুমের সন্ত্রাসী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশে এখন ভয় ও লোভের রাজত্ব চলছে।

Exit mobile version