দাউদকান্দি

জীবন_যুদ্ধে_অপরাজিত_এক_যোদ্ধা_আব্দুল_মতিন

#জীবন_যুদ্ধে_অপরাজিত_এক_যোদ্ধা_আব্দুল_মতিন
জীবনযুদ্ধের হার না মানা এই যোদ্ধার নাম আব্দুল মতিন। বয়স ৬৩ বছর। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দুইটা পা হারিয়ে আজ প্রতিবন্ধী। অন্যের সহযোগিতায় চলতে হয়। আঃ মতিনের বাসা চাদপুর জেলার কচুয়া থানায়। ৩ ছেলের পিতা। তবে বড়ই কষ্টের বিষয় বড় ছেলেটা বোবা বা প্রতিবন্ধী। তবে বাকী দুই ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ। নিজে পরিশ্রম করে দুই সন্তানকে পড়াচ্ছেন। মেঝো ছেলে এবার ইন্টারে পড়ে এবং ছোট ছেলে ক্লাস ৭ এ পড়ে। সন্তানদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেন আঃ মতিন। একদিন তারা বড় হবে এবং মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশের সেবা করবে। এজন্য নিজের কোন দূর্গতিই তাকে কষ্ট দেয় না। সমাজের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ মানুষ আঃ মতিন। তবে মতিনের কষ্ট এই যে এই সমাজেরই কিছু মানুষ তার মত অসহায় মানুষকে কেন ঠকায়? এই যে কয়দিন একজন মানুষ ৫০০ টাকা খুচরা নিয়ে ৫০০ টাকার নোটটা না দিয়েই চলে গেলো। তিনি কিছুই করতে পারলেন না। আঃ মতিন আমার অফিসে ২ বার এসেছিলো। তার সাথে অনেক কথা হলো। বেশ স্মার্ট মনে হয়েছে তাকে। সমাজ সম্পর্কে অনেক সচেতন। আমার মনে হয়েছে তার পা দুটি ভালো থাকলে সে জীবনে বেশ উন্নতি করতে পারতো। আব্দুল মতিনের স্বপ্ন পূর্ণ হোক। তার সন্তানগুলো পড়াশোনা করে মানুষ হোক। আঃ মতিনের পাশে দাড়াতে পেড়ে বেশ ভালো লাগতেছে। আব্দুল মতিনের মত মানুষ গুলো সমাজের বোঝা না, বরং সমাজের সৌন্দর্য।

Exit mobile version