অপরাধ

চান্দিনা বাজারে চাঁদাবাজির সত্যতা পেলেন এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত

চান্দিনা বাজারে চাঁদাবাজির সত্যতা পেলেন এমপি প্রাণ গোপাল দত্ত

।। চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার চান্দিনায় ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাজার পরিদর্শনে এসে চাঁদাবাজির সত্যতা পেলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত। চান্দিনায় উপজেলা সদরে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (২১ জুন) ওই বাজার পরিদর্শনে যান সংসদ সদস্য।

এ সময় মরম আলী, ইউসুফ আলী, ইসমাইল হোসেন, সূর্য ভৌমিক, লিটন মিয়া, মোয়াজ্জেম হোসেনসহ বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে প্রকাশ্যেই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের প্রধান জাহাঙ্গীর আলম গংদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য চান্দিনা বাজারের ইজারাদার মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ডেকে এনে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করেন এবং ব্যবসায়ীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। এ সময় জাহাঙ্গীর এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

ব্যবসায়ীরা ইজারাদার জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী কাউন্সিলর নাদিমুর রহমানের ছেলে নাঈম, ওই এলাকার জহিরের ছেলে মেহেদী হাসান, ইকবাল হোসেন ইবু, লিটন গাজী, দুলাল মুন্সি, ইকবাল মুন্সি, সজিব মুন্সিসহ তার বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত।

এদিকে জাহাঙ্গীর আলম সিন্ডিকেট চান্দিনা বাজার ইজারা নেওয়ার পর থেকেই কাঁচাবাজার, মাছ বাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ উচ্ছেদ এবং মারধর করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু তপন বক্সী, পৌর মেয়র শওকত হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা, থানার এসআই আমিনুর রহমান প্রমুখ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বাজার ইজারা নিয়েছি। আমি এবং আমার কোনো সহযোগী কাউকে মারধর করে চাঁদা আদায় করিনি। আমরা ইজারার বাইরে অতিরিক্ত কোনো টাকা-পয়সা নেইনি, সংসদ সদস্যয়কে কেউ ভুল বুঝিয়ে থাকতে পারে।

এ বিষয়ে ওসি আরিফুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা সংসদ সদস্যের কাছে জাহাঙ্গীর আলম গংদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর অনলাইন ।।

Close