কুমিল্লা সদর দক্ষিণ

“গণধর্ষণ মামলায় বরুড়া থানা পুলিশ কর্তৃক ০৩ জন আসামী গ্রেফতার

“গণধর্ষণ মামলায় বরুড়া থানা পুলিশ কর্তৃক ০৩ জন আসামী গ্রেফতার”

বরুড়া থানার অপরাধ দমন, আসামি গ্রেফতার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মান্যবর পুলিশ সুপার কুমিল্লা মহোদয়ের নির্দেশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বরুড়া থানা পুলিশ।

বরুড়া থানাধীন শাকপুর গ্রামের আমান রাফি (২১) এর সাথে গত ০৫ মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ভিকটিম (১৯) এর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৫/০৪/২০১৩ ইং তারিখ রাত অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময় আমান @ রাফি ভিকটিমকে ফোন করে তার বাড়িতে যেতে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিম বরুড়া হতে সিএনজিযোগে আমান (২) রাফি এর বাড়ি শাকপুরে যায়। ভিকটিম বাড়িতে গেলে আমান (@ রাফির মাতা ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় তাদের বসত বাড়ি হতে বের করে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম ঐ একই সিএনজি যোগে শাকপুর হতে দেওড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। রাত অনুমান ১০:৪৫ ঘটিকার সময় ভিকটিম বরুড়া থানাধীন শাকপুর ইঞ্জিনিয়ার গেইটের সামনে পৌঁছালে আসামী শামিম (২৩), জাকির হোসেন (৩৫) সিএনজির গতিরোধ করে সিএনজি থামিয়ে ভিকটিমকে সিএনজিতে জোরপূর্বক উঠিয়ে ভিকটিম সহ সিএনজি চালককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে শাকপুর পুরান বাজার হতে দক্ষিণ দিকে শাহজাহান এর বাগান বাড়ি খোলা জায়গায় নিয়ে যায়। বাগান বাড়িতে আসামী রুবেল (২৭) আগে থেকেই অবস্থান করতেছিল। আসামীরা সিএনজি চালককে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সিএনজি সহ বাগান বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। পরবর্তীতে আসামী রুবেল, শামিম ও জাকির হোসেন পরষ্পর যোগসাজশে ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ২৫/০৪/২০২৩ইং তারিখ রাত অনুমান ১১:০০ ঘটিকা হইতে ১২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় ভিকটিম কান্নাকাটি করতে থাকলে আসামীরা সিএনজি চালক শাকিলের সিএনজিতে উঠিয়ে দেয়। সিএনজি চালক শাকিল ২৬/০৪/২০১৩ইং তারিখ রাত অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় বরুড়া বাজার ভাউকসার রাস্তার মোড়ে ভিকটিমকে নামিয়ে দেয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে বরুড়া থানার মামলা নং-২০, তাং-২৬/০৪/২০২৩, জিআর- ৭৩, ধারা-৯ (৩)/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী ২০০৩) তৎসহ ৩২৩/৫০৬ পেনাল কোড রুজু হয়।

মামলা রুজুর পরপরই পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহ বরুড়া থানার টিম শাকপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৮.২০ ঘটিকায় ভিকটিমকে বহনকারী সিএনজির চালক শাকিলকে সিএনজি সহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় শাকপুর গ্রামের রুবেল, শামিম ও জাকির হোসেন শাকপুর পুরান বাজার হতে দক্ষিণ দিকে শাহজাহান এর বাগান বাড়ির খোলা জায়গায় নিয়ে ভিকটিম তামান্না আক্তার কে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বরুড়া থানার টিম সিএনজি চালক শাকিল এর তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে শামিমকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। এরপর শামিমের তথ্যের ভিত্তিতে রুবেলকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করা হয়। রুবেলের তথ্যের ভিত্তিতে জাকির হোসেনকে তার বাড়ি হতে গ্রেফতার করে। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে। রাতভর গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা শেষে আসামী সহ থানায় হাজির হয়। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটানোর ক্ষেত্রে রাফির ইন্ধন ছিল। আসামী রুবেল (২৭) এর নামে ডাকাতি প্রস্তুতিসহ তিনটি মামলা, জাকির হোসেন (৩৫) এর নামে ডাকাতি প্রস্তুতিসহ তিনটি মামলা ও শামিম (২৩) এর নামে একটি মামলা আছে।

Exit mobile version