কুমিল্লা সদরকুমিল্লা সদর দক্ষিণচান্দিনাচৌদ্দগ্রামজাতীয়জেলার খবরতিতাসদাউদকান্দিদেবিদ্বার

কুমিল্লার ৮টি আসনে আ. লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি। এরইমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছে। দেশি-বিদেশি একাধিক সংস্থার মাধ্যমে জরিপ এবং গোয়েন্দা প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্রে বেশ কয়েকজন সংসদ সংসদের মনোনয়ন অনিশ্চিত হয়েছে।

যারা নানা বিতর্কে জড়িয়ে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন অথবা দায়িত্ব পালনে অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছেন, তাদের কপাল পুড়বে এবার। ইতিমধ্যে কুমিল্লার ৮টি আসনে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে। কুমিল্লার এ ৮টি আসনে চুড়ান্ত প্রার্থীদের নাম সংবাদের শেষ অংশে রয়েছে।

তবে আওয়ামী লীগ এককভাবে নির্বাচন করলে এক ধরনের প্রার্থী তালিকা, ১৪ দলীয় জোটগতভাবে নির্বাচন করলে এক ধরনের তালিকা আবার মহাজোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে আরেক ধরনের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৪ দল বা মহাজোটগত নির্বাচন হলে কত আসন ছাড় দেয়া হবে সে ব্যাপারেও টিমওয়ার্ক করছে আওয়ামী লীগ।

রাজনীতিতে সক্রিয় নয় এমন সাবেক আমলা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তারা এ নিয়ে নীরবে কাজ করছেন। এ পর্যন্ত ১৫১ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করে তাদের সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অনেক আসনে বিবেচনায় রয়েছে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম। সবকটি জরিপ ও গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট নিয়ে ‘হোমওয়ার্ক’ করছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সব আসনের একটি প্রার্থী তালিকা রয়েছে তার ‘গুডবুকে’। ল্যাপটপে রয়েছে ‘উইনেবল’ প্রার্থীদের আলাদা একটি তালিকাও। হালনাগাদ জরিপ ও গোয়েন্দা রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো কোনো আসনের প্রার্থী তালিকায় নাম সংযোজন বিয়োজন হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ে জরিপের কাজ এখনো চলছে। এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে সময়মতো দলীয় ফোরামে আলোচনা করে প্রার্থী ঠিক করা হবে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য রশিদুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ বৃহৎ সংগঠন। সব আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে কর্মীবান্ধব, সাংগঠনিকভাবে দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়া হবে। এজন্য আসনভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করে প্রার্থী বাছাই করা হবে।

আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় একাধিক জরিপ রিপোর্ট খতিয়ে দেখছেন। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানার হাতেও রয়েছে জরিপ ও সংস্থার রিপোর্ট। প্রধানমন্ত্রীকন্যা আন্তর্জাতিক অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র শেখ রেহেনা পুত্র রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববিও কোনো কোনো আসনের ব্যাপারে অবগত।

ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে অবস্থিত সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আসনভিত্তিক বর্তমান সংসদ সদস্য ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে কাজ করছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের আগেই দলের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার এবং ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এর আগে প্রার্থীদের মাঠে নামানো হবে। যেসব আসনে প্রার্থী বদল করা হবে তাদের আগেভাবে সংকেত দেয়া হবে।

যেসব আসনে বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে তাদের ব্যাপারে শেষ মুহূর্তে যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি ৩৫টি আসনে ছাড় পেলেও এবার ওই তালিকা ছোট হতে পারে। জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির আসন বাড়ার সম্ভাবনা কম। আওয়ামী লীগ ২১০টি আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

দলীয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় কুমিল্লার যারা রয়েছেন- কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৫ আবদুল মতিন খসরু, কুমিল্লা-৬ আ ক ম বাহাউদ্দিন, কুমিল্লা-৭ অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৮ নাসিমুল আলম চৌধুরী নজরুল, কুমিল্লা-৯ তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১০ আ হ ম মুস্তফা কামাল, কুমিল্লা-১১ মুজিবুল হক।

Close