ফিচার

আমার দেখা অসম্ভব রকমের সুন্দরতম দৃশ্য এটি,ওমর ফারুক।

আমার দেখা অসম্ভব রকমের সুন্দরতম দৃশ্য এটি। ছবিটার দিকে অনেকক্ষণ অপলক তাকিয়ে থাকলে ‘জীবনের সকল আয়োজন’কে কেবলই অর্থহীন মনে হয়। কোনো এক বাঁশ-বাগানের মধ্যখানে ফাঁকা জায়গায় ঠিক এমনই একটা ঘর আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা না চাইলেও একদিন সেখানেই আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে।

এই কবরটা কী সুন্দর আলোকজ্জল তাইনা? মাইয়্যেতের লাশটা কবরে শুইয়ে দেওয়ার পর, স্তুপ আকারে যে লাল মাটিগুলো পাশেই রাখা আছে, সেগুলো দিয়ে যখন খুব ভালোভাবে মাইয়্যেতকে চাপা দেওয়া হবে, তখন কবরের ভেতরটা ঠিক কেমন হবে? খুব অন্ধকারাচ্ছন্ন তাইনা? আচ্ছা! একটু কি ফাঁকা জায়গা বাকি রইবে? যেখান দিয়ে সামান্য আলোকছটা ভেতরে প্রবেশ করে অন্ধকার কবরটাকে একটু আলোকময় করে তুলবে! রইবে কি?

মু’মিনগণ সত্যিই বড় সৌভাগ্যবান! তাদের কবর ঘুটঘুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে না। নেক আমল তাদের বন্ধু হয়ে কবরকে আলোকিত করে রাখবে। আচ্ছা! নেক আমলের দ্যুতি কেমন হতে পারে? নিশ্চয়ই সেটা খুবই প্রশান্তিদায়ক হবে। মু’মিনগণের বিষয়টা বড় ইর্ষণীয়! সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরটাকে আল্লাহ তাদের জন্য ফুলের বাগান বানিয়ে দিবেন। তাদের কোনো দুশ্চিন্তা থাকবে না! তারা সেখানে নিশ্চিন্তে ঘুমাবে! তাদেরকে তখন কেউই বিরক্ত করবে না!

হে করুণার আঁধার! হে রাব্বে কারীম! হে রাব্বে রাহীম!
মুমিন না বানিয়ে আমাদেরকে অন্ধকার ঐ ঘরটায় ফিরিয়ে নিয়েন না! আমাদেরকে আপনার প্রিয় বান্দাদের দলভুক্ত করে নিন! যাতে করে আমাদের ছোট্ট এই মাটির ঘরটা হয়ে যায়, ‘জান্নাতের বাগিচা! আলোকজ্জল, আলোকময়!

Close