জেলার খবর

১০ বছর ধরে প্লাস্টিকের কোনো রকম ছাপড়া দিয়ে থাকেন। খোঁজ নেয়নি নিজ সন্তানেরাও !!

১০ বছর ধরে প্লাস্টিকের কোনো রকম ছাপড়া দিয়ে থাকেন। খোঁজ নেয়নি নিজ সন্তানেরাও !!

গতকাল মা দিবস গেলো। হয়তো তরু বালা’র তিন পুত্রের কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে মায়ের প্রতি আবেগ ভরা ভালোবাসা জানিয়েছেন।
বাস্তবতা হলো চরহাজারী ২ নং ওয়ার্ডস্থ তরু বালা তার স্বামী মতিলালকে নিয়ে গত ১০ বছর খুব কষ্টে পুকুর পাড়ে প্লাস্টিকের কোনো রকম ছাপড়া দিয়ে থাকেন। অবশ্য সন্তানেরা টিনের ঘরে বেশ আরামেই আছেন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে।

মতি লাল -তরু বালা দম্পতির তিন সন্তানের দু সন্তান তাদের বাড়িতেই থাকেন, অন্যজন থাকেন প্রবাসে আর তার স্ত্রী সন্তান থাকে শশুর বাড়ী।
মতিলাল প্রায় ২০ বছর বসুরহাট পৌরসভায় সুইপার পোস্টে কাজ করেছেন।বয়স হয়েছে, এখন আর সে শক্তি নেই।গত কয়েক বছর তরু বালাকে নিয়ে ভিজিডি কার্ডের চাল আর বয়স্ক ভাতার টাকা আর মানুষের দেয়া সাহায্য দিয়ে চলছিলেন কোনো রকম। সম্প্রতি সরকারের উদ্যোগ ছিলো ৬৫ বছরের উব্ধে যারা তারা ভাতার আওতায় আসবে।

কিন্তু হায়! মতি লালের বয়স ৭০ হলেও জাতীয় পরিচয় পত্রতে ৬৫ বছরের কম।তাই বাদ পড়লেন। ভিজিডি কার্ডের ক্ষেত্রে দু বছর কেউ চাল পেলে পরের দু বছর সে পায় না। সে আলোকে চালও পাওয়া বন্ধ।থাকা এবং খাওয়া দুটো নিয়েই কষ্ট শুরু হয়।

আমার মনে হচ্ছে আমাদের ইউএনও জিয়াউল হক মীর স্যার যদি উদ্যোগ নিয়ে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন তবে একষ্টের জীবন থেকে রক্ষা পাবে তারা।

এছাড়াও, তিনি যদি সন্তানদের সাথে বসে বাড়ীতে থাকা দু সন্তানের কাছে ১৫ দিন করে খাবেন তারা, সে ১৫ দিনের ভরন -পোষন করবেন সে সন্তান।আর প্রবাসে থাকা সে সন্তানের উপর টাকা ধার্য করে দেবেন। যেহেতু সে কদমতোলার পাশে শশুর বাড়ীতে থাকে পরিবার নিয়ে। সে টাকায় বৃদ্ধ মতিলাল ও তরুবালা ঔষধ কেনে খাবেন। তাহলে সুন্দর হয়।
এক্ষেত্রে আশার কথা হচ্ছে,স্থানীয় চেয়ারম্যান জানিয়েছেন- সরকারের গৃহহীন ও ভূমিহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় মতি লাল মজুমদারের নাম জমা দিয়েছি, মঞ্জুর হলে তাকে একটি ঘরে করে দেয়া হবে।

তাহলে বিষয়টি দাঁড়ালো ইউএনও স্যার আন্তরিকতা দেখালে ঘর পাবেন মতিলাল এবং তার ভরণ-পোষন ব্যবস্থাও হয়ে যাবে।

(সাংবাদিক নুর উদ্দিন মুরাদ এর ওয়াল থেকে)

Exit mobile version