আন্তর্জাতিক

প্রতিটি এয়ারলাইন্সের টিকিট প্রতি যাত্রী কত কেজি ওজনের লাগজে সঙ্গে নিতে পারবেন, তা নির্ধারিত।

প্রতিটি এয়ারলাইন্সের টিকিট প্রতি যাত্রী কত কেজি ওজনের লাগজে সঙ্গে নিতে পারবেন, তা নির্ধারিত।

কোন এয়ারলাইন্স ২০ কেজি আবার কোন এয়ারলাইন্স ৪০ কেজি পর্যন্ত লাগেজ বহনের সুবিধা দেয়।

নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত ব্যাগ নিলে আপনাকে কেজি প্রতি অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে অথবা লাগেজে থেকে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফ্লাইটে উঠতে হবে।

লাগজের অতিরিক্ত ওজনের জন্য কেজি প্রতি চার্জও এয়ারলাইন্স ভেদে বিভিন্ন রকমের। এটা অতিরিক্ত ওজনের লাগেজ বহনের চার্জ, কোন ঘুষ নয়।

ফ্লাইট ছাড়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে বোডিং কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আপনি নির্ধারিত সময়ে মধ্যে বোডিং না করতে পারলে আপনি ফ্লাইট মিস করবেন।

বোডিং কাউন্টার বন্ধ হওয়ার আগে আপনি আপনার লাগেজ বুকিং না দিলে সেটি সঙ্গে নিয়ে ফ্লাইটে উঠতে পারবেন না। অতিরিক্ত লাগেজের ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই ফ্লাইট মিস করেন। ফলে আপনি বিমানবন্দরে যেয়ে বোডিংয়ের সময় ঝামেলা এড়াতে বাড়ি থেকেই নির্ধারিত ওজনের মধ্যে লাগেজ নিয়ে আসুন। যদি আপনার অতিরিক্ত ওজনের মালামাল বহন করতে হয়, তবে সেই চার্জ সম্পর্কে জেনে সমপরিমান টাকা সঙ্গে নিয়ে আসুন।

অতিরিক্ত লাগেজ নিয়ে বাংলাদেশে বিমানবন্দরে আসলে এয়ারলাইন্স অতিরিক্ত লাগেজের চার্জ চাইলে, সেটাকে ঘুষ দাবি করছে অভিযোগ তুলে ফেসবুকে লাইভে এসে বা ভিডিওতে ”বাংলার মাটিতে আর আসবো না” বলে কান্নাকাটি করলে বাংলাদেশে কেউ কেউ আপনাকে সমবেদনা জানাবে। বিদেশের কোন বিমানবন্দরে আপনি সমবেদনা জানানোর কাউকে‍ খুঁজে পাবেন না। বরং এয়ারলাইন্সের সঙ্গে অযাযিত আচরণ করলে আপনাকে স্থায়ী ভাবে নিষিদ্ধ করতে পারে, আপনি আর কখনও সেই এয়ারলাইনের ফ্লাইটে উঠতেও পারবেন না।

বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরের নিয়মনীতি প্রায় একই রকমের। ভ্রমণের সময় এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দরের নিয়ম মেনে চলুন।
সংগৃহীতঃ বাংলা এভিয়েশন।

Close