অপরাধ

চান্দিনার ভোমরকান্দিতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে হয়রানির অভিযোগ

চান্দিনার ভোমরকান্দিতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে হয়রানির অভিযোগ

মো. আবদুল বাতেন।।

কুমিল্লার চান্দিনায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর (১২) অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে স্থানীয় কুচক্রী মহল। উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের ভোমরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অন্তঃসত্ত্বা ওই শিশুর মা পারভীন আক্তার একই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. শফিউল্লাহ্ (৫২), সিরু মিয়ার ছেলে মো. মাসুম বিল্লাহ্ (৪৭) ও মৃত সুজ্জাত আলীর ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (২৮) কে অভিযুক্ত করে। কিন্তু ওই গ্রামের কতিপয় স্বার্থান্বেসী ব্যক্তি অন্ত:সত্ত্বা ওই শিশুকে পূঁজি করে আইনী সুরাহার তোয়াক্কা না করে শফিউল্লাহ নামের এক ব্যক্তিকে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে দোষ চাপানোর চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। অসাধুভাবে অর্থের বিনিময়ে সুরাহা করার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন।

জানা যায়, করতলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শারিরীক বিভিন্ন উপসর্গ দেখে গত ১৫ জুন ভোমরকান্দি বাজারের একজন পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার প্রেগনেন্সি টেস্ট করান। এসময় কিশোরীটি গর্ভবতী বলে জানান চিকিৎসক। পরে ১৯ জুন উপজেলার দোল্লাই নবাবপুর টাওয়ার হসপিটালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা শেষে ওই কিশোরী ১০ সপ্তাহের অন্তঃসত্তা বলে জানানো হয়।

পরবর্তীতে এই নিয়ে কিছু সমাজপতিদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়। তবে, ওই ঘটনায় কে দায়ী তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় নি। কিন্তু সমাজের কিছু অসাধু ব্যক্তি মো. শফিউল্লাহ্ (৫২) কে বিভিন্নভাবে দোষারোপ করে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।

এদিকে ওই ঘটনায় শুক্রবার (৩ জুলাই) অভিযুক্ত মো. শফিউল্লাহ্’র স্ত্রী পিয়রা বেগম চান্দিনায় এক সংবাদ সম্মেলন করে তার স্বামীকে নির্দোষ দাবি করেন। তার স্বামীকে সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন করার লক্ষে কুচক্রী মহল পরিকল্পিত ভাবে দোষারোপ করে যাচ্ছেন। আমার স্বামীর উপর দোষ চাপিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে কতিপয় ব্যক্তি। আইনী প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ডিএনএ টেস্ট করে মেয়েটিকে অন্তঃসত্তা করার পেছনে যে দায়ী তাকে চিহ্নিত করে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। আমার স্বামীকে বে-আইনি ভাবে অভিযুক্ত করায় আমরা সামাজিক ভাবে চরম অপদস্থ হচ্ছি।

এব্যাপারে মাইজখার ইউনিয়নের ভোমরকান্দি গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মো. জাকির হোসেন জানান, ‘প্রেগনেন্সি টেস্টের পর মেয়েটিকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম। সে ওই সময় সোহাগ নামে তার এক সম্পর্কে মামার নাম বলেছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে সে অন্য কয়েকজনের নামও বলেছে।’

 

ভিকটিমের মা পারভিন (৩৬) জানান, ‘আমি চট্টগ্রামে থাকি। মেয়েটি আমার বাবার বাড়ি ভোমরকান্দি গ্রামে থাকে। সোহাগ ও মাসুম মেয়েটির সাথে মাঝেমধ্যে দুষ্টামি করতো। অন্তঃসত্তা হওয়ার পর জানতে পারি শফিউল্লাহ্ ওই ঘটনা ঘটিয়েছে। যেই দায়ী হোক আমি তার বিচার চাই।’

 

এব্যাপারে মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ্ সেলিম প্রধান বলেন- ‘আমি বিষয়টি জানি। মো. শফিউল্লাহ্ একজন ব্যবসায়ী। বয়ষ্ক মানুষ, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এভাবে কাদা ছুরাছুড়ি না করে সবাইকে আইনী পক্রিয়ায় বিষয়টি সূরাহা করার পরামর্শ দিয়েছি।’

Close